দৈনন্দিন যেসব অভ্যাসে বাড়তে পারে মাইগ্রেনের ব্যথা, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
দৈনন্দিন যেসব অভ্যাসে বাড়তে পারে মাইগ্রেনের ব্যথা, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাইগ্রেন শুধুমাত্র সাধারণ মাথাব্যথা নয়—এটি এক অসহনীয় অবস্থা, যা জীবনের গতি থামিয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস অজান্তেই এই ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে সঠিক জীবনযাপন ও রুটিন মেনে চললে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
চলুন জেনে নিই এমন কিছু অভ্যাস, যেগুলো মাইগ্রেনকে তীব্র করে তুলতে পারে—
১. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা
টানা মানসিক চাপ মাইগ্রেনের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে। তাই স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন ও রিলাক্সেশন অনুশীলন জরুরি।
২. ঘুমের অনিয়ম বা অনিদ্রা
৭–৮ ঘণ্টার কম ঘুম, দেরিতে শোয়া বা ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যাওয়া—সবই মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. খাবারের অনিয়ম
সময়মতো না খাওয়া বা খাবার বাদ দেওয়ার অভ্যাস মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে খেলে মাইগ্রেন ট্রিগার হতে পারে।
৪. শরীরে পানিশূন্যতা
যথেষ্ট পানি না খেলে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স নষ্ট হয়, ফলে মাথাব্যথা বেড়ে যায়। দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
৫. উজ্জ্বল আলো ও অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম
চোখে সরাসরি আলো পড়া বা মোবাইল–কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকা মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়।
৬. অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ
প্রতিদিন বেশি কফি বা চা খেলে তা মাইগ্রেন বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দিনে ১–২ কাপের বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দেন।
৭. উচ্চ শব্দের পরিবেশ
জোরে শব্দ, লাউড মিউজিক বা শহুরে কোলাহলও মাইগ্রেনের ব্যথাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে,
“সঠিক ঘুম, পর্যাপ্ত পানি পান, নিয়মিত ও সময়মতো খাওয়া, এবং মানসিক প্রশান্তি—এই চারটি চর্চা বজায় রাখলে মাইগ্রেন অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।”

কোন মন্তব্য নেই