সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার, বাকি দুজন পলাতক - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার, বাকি দুজন পলাতক

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার, বাকি দুজন পলাতক



ঢাকার সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার প্রধান সহযোগী আসামি মিঠু বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও থানার তেঁজকুনি পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার মিঠু বিশ্বাস (৩৫) সাভারের কমলাপুর গোয়ালিওপাড়া এলাকার দেবেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।

এ মামলার অপর দুই আসামি—সোহেল রোজারিও (৩৭) ও বিপ্লব রোজারিও (৪০)—এখনও পলাতক রয়েছেন। সোহেলের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ এবং বিপ্লব ও মিঠুর বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা জানান,

“রাজধানীর তেজগাঁও থানার তেঁজকুনি পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।”

ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছিল

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৪ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে সাভারের বেগুনবাড়ি এলাকায় টিউশন শেষে বাসায় ফেরার সময় তরুণীকে থামায় সোহেল ও বিপ্লব রোজারিও। পরিচয়ের অজুহাতে কথা বলতে বলতে তারা তাকে অনুসরণ করে এবং একপর্যায়ে জোরপূর্বক মাঠে নিয়ে যায়।

সেখানে ব্যর্থ ধর্ষণের চেষ্টার পর তাকে ভয় দেখিয়ে সোহেলের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সোহেল রোজারিও ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য দুই আসামি এ সময় সহযোগিতা করে। ঘটনাটি জানালে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় ভুক্তভোগীকে।

ঘটনার পর ১৬ অক্টোবর সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী।

প্রতিবাদ ও দাবিতে মানববন্ধন

এ ঘটনায় আজ (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় সাভার মডেল থানার সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
তাদের তিনটি দাবি—
১️⃣ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২️⃣ সাভারে নিরব ও গহীন এলাকায় পর্যাপ্ত লাইটিং, সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩️⃣ খুন-গুম-ধর্ষণ দমনে যৌথ বাহিনীর একটি বিশেষ সেল গঠন করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই