আজ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ: জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ঘোষণা, একদিনে নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্ত - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

আজ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ: জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ঘোষণা, একদিনে নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্ত

 


প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪ বিশেষ প্রতিবেদন



প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। একই সঙ্গে ঘোষণা আসছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের।


বিস্তারিত সংবাদ:

রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধ উপেক্ষা করে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সরকার আজ আদেশ জারি করতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন হবে বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ওই ভাষণেই ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ ঘোষণা করবেন।


রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও মতবিরোধ

গত ১০ নভেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়া এক সপ্তাহের সময়সীমা শেষ হলেও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বড় দলগুলো কোনো সমঝোতায় পৌঁছায়নি।
ফলে সরকার এখন নিজ উদ্যোগেই সনদ বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২৭ অক্টোবর দুটি সুপারিশ জমা দেয়। এরপর থেকেই গণভোট, নোট অব ডিসেন্ট, এবং পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে দলগুলো।


একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট

সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী—

  • আগামী জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।

  • সংসদের উচ্চকক্ষ গঠিত হবে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে।

  • গণভোটে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) রাখা হবে না।

  • ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতাও বাতিল হতে পারে।

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, “সব দলের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে, দেশের স্বার্থে ভালো কিছু আসছে।”


বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান

বিএনপি বলছে, সরকার নোট অব ডিসেন্ট বাদ দিলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
অপরদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮টি ইসলামি দল ঘোষণা দিয়েছে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া ২০২৬ সালের নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।


জুলাই সনদের মূল প্রস্তাব ও কাঠামো

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী:

  • ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে — নির্বাহী আদেশ, অধ্যাদেশ ও গণভোটের মাধ্যমে।

  • প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ৪৮টি সংবিধান সংশোধনের বিষয় গণভোটে তোলা হবে।

  • নতুন সংসদ দুই দায়িত্ব পালন করবে:
    ১️⃣ সংবিধান সংস্কার পরিষদ
    ২️⃣ নিয়মিত আইনসভা

সনদ বাস্তবায়নে “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান” হবে আইনি ভিত্তি, এবং এর অধীনেই আদেশ জারি করা হবে।


বিশ্লেষণ: রাজনৈতিক ভারসাম্যের চেষ্টা

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকার এখন এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে যা একদিকে সংবিধান সংস্কারকে এগিয়ে নেবে, অন্যদিকে দলগুলোর প্রকাশ্য বিরোধও প্রশমিত করবে।
তবে নোট অব ডিসেন্ট ইস্যুতে বিএনপির আপত্তি এখনো রয়ে গেছে, বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাহী ক্ষমতা ভারসাম্যের প্রস্তাব নিয়ে।


পরবর্তী ধাপ

আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার ভাষণেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে নিশ্চিত সূত্র জানিয়েছে।
এই ঘোষণার পর দেশের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়েই এখন সবার নজর।


কীওয়ার্ড: জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোট ২০২৫, প্রধান উপদেষ্টা ভাষণ, সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন ২০২৫, প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন, পিআর পদ্ধতি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন


কোন মন্তব্য নেই