ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে গমের রফতানি চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো থেকে গমের রফতানি চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণে ২০১৮-১৯ বিপণন মৌসুমে এসব দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের রফতানি পূর্বাভাস আগের প্রাক্কলনের তুলনায় ছয় লাখ টন বাড়িয়েছে স্ট্র্যাটেজিক গ্রেইনস। মূলত রাশিয়াসহ কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় গমের ক্রমবর্ধমান রফতানি মূল্যের কারণে আমদানিকারকরা কৃষিপণ্যটি আমদানিতে ইউরোপমুখী হয়েছেন বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
গম উৎপাদনকারীদের তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান বিশ্বে প্রথম। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর প্রতি বছর এসব দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গম রফতানি হয়। কৃষিপণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলো চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। স্ট্র্যাটেজিক গ্রেইনসের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ মৌসুমে ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৯৪ লাখ টন গম রফতানি হতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানটির আগের প্রাক্কলনের তুলনায় ছয় লাখ টন বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রাশিয়াসহ কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় গম উৎপাদন কমতে পারে। এর প্রভাব পড়বে পণ্যটির রফতানিতেও। এরই মধ্যে সরবরাহ সংকটের শঙ্কা থেকে কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলে গমের রফতানি মূল্য বাড়তে শুরু করেছে। এর সুফল পেতে শুরু করেছেন ইউরোপীয় গম রফতানিকারকরা। রাশিয়ায় বাড়তি দামের কারণে ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে বাড়তি গম রফতানির সম্ভাবনা দেখছেন তারা।
এদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর শেষে ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে ২ কোটি ৩০ লাখ টন গম রফতানি হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ১৩ শতাংশ কম। ২০১৭ সালে এসব দেশ থেকে মোট ২ কোটি ৩৫ লাখ টন গম রফতানি হয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই