নিজেদের কর্মকাণ্ডে ভীত বলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
সরকার নিজেদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ভীত বলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শনিবার রাজধানীর মণিসিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্ট্রের মনির আজাদ সেমিনার কক্ষে গণসংহতি আন্দোলনের আয়োজনে ‘গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: সংবাদমাধ্যম এবং নাগরিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, তাদের নিজেদের মধ্যেই অপরাধী মন কাজ করছে। তারা তাদের এসব কাজকে বৈধ্যতা দিতে ডিজিটাল আইন করেছে। তবে এ নিয়ে দেশের একটি বিদ্বান অংশের নীরবতা অস্বাভাবিক।
তিনি বলেন, সরকার এ ধরনের কালাকানুন করে জনগণকে মৃত সৈনিকে পরিণত করতে চায়। তারা চায় জনগণকে মৃত সৈনিক হিসাবে বানিয়ে রাখতে। আর এর ফাঁকে তারা ভুড়িভোজের উৎসবে মেতে উঠবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য সম্পাদক পরিষদকে ধন্যবাদও জানান আনু মুহাম্মদ।
সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিকে নিবর্তনমূলক বললেও তো কম বলা হয়, এটা রীতিমত একটা সন্ত্রাসী আইন।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কারণে জনগণের বাকস্বাধীনতার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাকে রুদ্ধ করাই এ আইনের লক্ষ্য। আর এতে দেখা যাবে জামিন পাওয়ার মতো মৌলিক অধিকারকে এই আইনের একাধিক ধারার বাতিল করা হয়েছে। এটা দেশের সংবিধান, আইনের চেতনা বা মানবাধিকারের বিশ্বজনীন ধারণার বিরোধী।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই