মেরিন ড্রাইভ হোক পর্যটকবান্ধব, টুরিস্ট বাস চালু হলে বাড়বে সুবিধা
পর্যটন স্পটগুলোতে সহজে যাতায়াতের জন্য ইউরোপের মতো কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে বিলাসবহুল দ্বিতল ট্যুরিস্ট বাস চালু করা হলে পর্যটক বাড়বে বলে মনে করেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে নতুন নতুন সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আরো বিকশিত করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সংকীর্ণ ও ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট। এসব সুবিধা চালুর জন্য শীঘ্রই উপযুক্ত সড়ক তৈরির ওপর জোর দেন সংশ্লিষ্টরা। প্রায় ২ বছর আগে উদ্বোধন হওয়া কক্সবাজার-টেকনাফ ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভে পর্যটকদের সহজ যাতায়াতের জন্য দ্বিতল খোলা বাস চালুর দাবিটি আলোচিত হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাঝে। বর্তমানে এ রুটে যাত্রীবাহী কোনো বাস সার্ভিস নেই। নেই পর্যটকবাহী বাস সার্ভিসও। উচ্চভাড়ায় সিএনজি ও ই-বাইকে স্থানীয়রা এ রুটে যাতায়াত করেন। পর্যটকেরাও এসব তিন চাকা যান ছাড়াও রিজার্ভ বাস, মাইক্রোবাস বা জিপে করে এ রুটের পর্যটন স্পট হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, পেঁচারদ্বীপ ও টেকনাফে ভ্রমণ করেন। এতে পর্যটকদের খরচ পড়ে বেশি। সঠিক নির্দেশনার অভাবে বা অজ্ঞতার কারণে পর্যটকদের বিভিন্ন সময় সম্মুখীন হতে হয় নানা বিড়ম্বনার।
লন্ডন শহরের মতোই কঙবাজারে আধুনিক বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দ্বিতল বিশিষ্ট খোলা বাস চালু করা হলে পর্যটকদের বিড়ম্বনা কমার পাশাপাশি আকর্ষণ বাড়বে বলে মনে করেন কঙবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে সকলেরই অনুযোগ, অনুপযুক্ত রাস্তা নিয়ে। শহর থেকে মেরিন ড্রাইভে ঢুকতেই যত যন্ত্রণা।
কঙবাজার সী-বীচ হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নুরুল আবছারের মতে, প্রস্তাবটি নিঃসন্দেহে সুন্দর। কিন্তু আমরা তার জন্য কতটুকু তৈরি? তিনি বলেন, একে তো সোলডারসহ ২৪ ফুটের মেরিন ড্রাইভ, তার ওপর শহর থেকে মেরিন ড্রাইভে ঢুকতে দেড় কিলোমিটারব্যাপী রাস্তা ভাঙাচোরা ও সংকীর্ণ। এখানে কোথাও রাস্তা ১২ ফুটের চেয়েও কম চওড়া। যে কারণে বড় বাস ঢুকলেই ট্রাফিক জ্যামে মেরিন ড্রাইভ অচল হয়ে পড়ে।
একই কথা জানান, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কঙবাজারের (টোয়াক বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান। তিনি বলেন, মেরিন ড্রাইভের প্রবেশ মুখ কলাতলীতে রাস্তা এত সংকীর্ণ ও ভাঙাচোরা যে, এই ধরনের বাস সার্ভিস চালু হলে জনদুর্ভোগ আরো বাড়তে পারে।
মেরিন ড্রাইভ ও এর প্রবেশ মুখ চওড়া না করে এই মুহূর্তে এই ধরনের বাস সার্ভিস চালুর বিরোধিতা করেন শহরের কলাতলীর বাসিন্দা মাস্টার ছৈয়দ নূর। তিনি বলেন, বাস সার্ভিস চালু হলে পরিস্থিতি আরো নাজুক হতে পারে।
কঙবাজার ভ্রমণরত পর্যটক ও লেখক আনোয়ার হোসেন বলেন, অনেক টাকা ব্যয়ে নির্মিত মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য কলাতলীতে এসে ম্লান হয়ে যায়। পর্যটকদের আনন্দও ড্রাইভের সৌন্দর্য কলাতলীতে এসে ম্লান হয়ে যায়।
কঙবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কবি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, কঙবাজার শহরের পর মেরিন ড্রাইভেই সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। এ কারণে মেরিন ড্রাইভকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয়, উপভোগ্য ও সহজলভ্য করতে বিলাসবহুল ডাবলডেকার বাস সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়ে আসছি বেশ কয়েক বছর ধরে।
তিনি জানান, গত প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় আগে ইনানী পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু হলেও কয়েক বছর আগে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পর্যটকদেরকে রিজার্ভ সিএনজি বা অন্যান্য যানে যাতায়াত করতে হয়।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও পর্যটন ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান বলেন, এ প্রস্তাবটি দীর্ঘদিনের। আমি নিজেও ট্যুরিস্ট সার্ভিস চালু করেছিলাম। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। অনুপযুক্ত রাস্তাঘাটের কথা ভেবে প্রাথমিকভাবে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার অংশে এ সার্ভিস চালুর অভিমত দেন তিনি।
কঙবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ফখরুল ইসলাম বলেন, লন্ডন শহরসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে এই ধরনের পর্যটন বাস সার্ভিস রয়েছে। যেগুলোতে কেবল পর্যটকেরাই পর্যটনের মুডে ঘোরাঘুরি করে। মেরিন ড্রাইভে এ সার্ভিস চালু হলে নিঃসন্দেহে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে।
কঙবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা মনে করেন, সরকার কঙবাজারের পর্যটন খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করলে দেশে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আসবে। মেরিন ড্রাইভই তারই প্রমাণ। এ রুটে পর্যটকদের জন্য বিলাসবহুল আধুনিক ট্যুরিস্ট বাস সার্ভিসসহ আরো আকর্ষণীয় নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা দরকার। তবে তার আগে মেরিন ড্রাইভকে আরো সম্প্রসারণ করা দরকার, যাতে সুবিধার পরিবর্তে তা দুর্ভোগের কারণ না হয়।
লন্ডন শহরের মতোই কঙবাজারে আধুনিক বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দ্বিতল বিশিষ্ট খোলা বাস চালু করা হলে পর্যটকদের বিড়ম্বনা কমার পাশাপাশি আকর্ষণ বাড়বে বলে মনে করেন কঙবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে সকলেরই অনুযোগ, অনুপযুক্ত রাস্তা নিয়ে। শহর থেকে মেরিন ড্রাইভে ঢুকতেই যত যন্ত্রণা।
কঙবাজার সী-বীচ হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নুরুল আবছারের মতে, প্রস্তাবটি নিঃসন্দেহে সুন্দর। কিন্তু আমরা তার জন্য কতটুকু তৈরি? তিনি বলেন, একে তো সোলডারসহ ২৪ ফুটের মেরিন ড্রাইভ, তার ওপর শহর থেকে মেরিন ড্রাইভে ঢুকতে দেড় কিলোমিটারব্যাপী রাস্তা ভাঙাচোরা ও সংকীর্ণ। এখানে কোথাও রাস্তা ১২ ফুটের চেয়েও কম চওড়া। যে কারণে বড় বাস ঢুকলেই ট্রাফিক জ্যামে মেরিন ড্রাইভ অচল হয়ে পড়ে।
একই কথা জানান, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কঙবাজারের (টোয়াক বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান। তিনি বলেন, মেরিন ড্রাইভের প্রবেশ মুখ কলাতলীতে রাস্তা এত সংকীর্ণ ও ভাঙাচোরা যে, এই ধরনের বাস সার্ভিস চালু হলে জনদুর্ভোগ আরো বাড়তে পারে।
মেরিন ড্রাইভ ও এর প্রবেশ মুখ চওড়া না করে এই মুহূর্তে এই ধরনের বাস সার্ভিস চালুর বিরোধিতা করেন শহরের কলাতলীর বাসিন্দা মাস্টার ছৈয়দ নূর। তিনি বলেন, বাস সার্ভিস চালু হলে পরিস্থিতি আরো নাজুক হতে পারে।
কঙবাজার ভ্রমণরত পর্যটক ও লেখক আনোয়ার হোসেন বলেন, অনেক টাকা ব্যয়ে নির্মিত মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য কলাতলীতে এসে ম্লান হয়ে যায়। পর্যটকদের আনন্দও ড্রাইভের সৌন্দর্য কলাতলীতে এসে ম্লান হয়ে যায়।
কঙবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কবি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, কঙবাজার শহরের পর মেরিন ড্রাইভেই সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। এ কারণে মেরিন ড্রাইভকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয়, উপভোগ্য ও সহজলভ্য করতে বিলাসবহুল ডাবলডেকার বাস সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়ে আসছি বেশ কয়েক বছর ধরে।
তিনি জানান, গত প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় আগে ইনানী পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু হলেও কয়েক বছর আগে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পর্যটকদেরকে রিজার্ভ সিএনজি বা অন্যান্য যানে যাতায়াত করতে হয়।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও পর্যটন ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান বলেন, এ প্রস্তাবটি দীর্ঘদিনের। আমি নিজেও ট্যুরিস্ট সার্ভিস চালু করেছিলাম। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। অনুপযুক্ত রাস্তাঘাটের কথা ভেবে প্রাথমিকভাবে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার অংশে এ সার্ভিস চালুর অভিমত দেন তিনি।
কঙবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ফখরুল ইসলাম বলেন, লন্ডন শহরসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে এই ধরনের পর্যটন বাস সার্ভিস রয়েছে। যেগুলোতে কেবল পর্যটকেরাই পর্যটনের মুডে ঘোরাঘুরি করে। মেরিন ড্রাইভে এ সার্ভিস চালু হলে নিঃসন্দেহে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে।
কঙবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা মনে করেন, সরকার কঙবাজারের পর্যটন খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করলে দেশে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আসবে। মেরিন ড্রাইভই তারই প্রমাণ। এ রুটে পর্যটকদের জন্য বিলাসবহুল আধুনিক ট্যুরিস্ট বাস সার্ভিসসহ আরো আকর্ষণীয় নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা দরকার। তবে তার আগে মেরিন ড্রাইভকে আরো সম্প্রসারণ করা দরকার, যাতে সুবিধার পরিবর্তে তা দুর্ভোগের কারণ না হয়।

কোন মন্তব্য নেই