ঠাকুরগাঁওয়ের ১১ নদীতে চলে হরদম ধান চাষ
টাংগন নদীর তীরে অবস্থিত ঠাকুরগাঁও শহর। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে অপর একটি নদী যার নাম সেনুয়া। শহরের পৌর এলাকার পশ্চিম অংশ ঠাকুরগাঁও রোড অবস্থিত শুক নদীর তীরে। সদর উপজেলার ঢোলারহাট এলাকায় শুক একটি ধারা রয়েছে। সাধারন মানুষের জীবন যাত্রা জড়িয়ে আছে এসব নদীর সঙ্গে।
এক সময় এসব নদীতে সারা বছর পানি প্রবাহিত হলেও এখন আর এখানে পানি দেখা যায় না। দীর্ঘদিন প্রবাহিত এ নদীগুলো এখন দিনদিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীর নাব্যতা হারিয়ে নালায় পরিনত হয়েছে। কোথাও কোথাও পানির ক্ষীণ ধারা দেখা যায় মাত্র।
এই ৩ নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠেছে রাতারাতি কয়েকটি বস্তি। ডিসিবস্তি, নিশ্চিন্তপুর ও হঠাৎবস্তি এর অন্যতম। ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী ১১টি নদীতে মহা সমারোহে ধান চাষ। যার ফলে নদীগুলো মরে যাচ্ছে। আবাদে কিটনাশক ব্যবহার করায় নদীর দেশিও মাছও বিলুপ্তির পথে। শেষ হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় দেশীয় মাছ। খালবিল নদীনালা পানি না থাকায় স্থানীয় জাতের মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। পানির প্রবাহ না থাকায় এ নদীগুলো মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। সেগুলো হলো- টাঙ্গন, সেনুয়া, তীরনই, শুক, নাগর, লাছি, কুলিক, ভুল্লি, ঢেপা ও নহনা। এছাড়াও প্রায় সবকটি নদীতে এখন ইরি-বোরো ধান আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে বোরো ধানের চাষ হচ্ছে।
সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বুক চিরে প্রবাহিত হয়েছে ভুল্লি নদী। এ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ভূল্লি বাজার। তীরনই নদীর তীরে গড়ে উঠেছে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শহর। তীরনই নদীটি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উত্তরে আটোয়ারী উপজেলার দক্ষিণে রানীশংকৈল উপজেলার জগদল হয়ে ভারতের নাগর নদীতে গিয়ে মিশেছে। এই নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। কুলিক নদীটি বালিয়াডাঙ্গী বেংরোল জিয়াবাড়ী হয়ে রানীশংকৈলের নাগর নদীতে মিশেছে। এই নদীর দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার। তীরনই ও কুলিক নদীতে রানীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর উপজেলার সহশ্রাধিক জেলে এক সময় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। নদীতে পানি না থাকায় জেলেরা এখন আর মাছ ধরতে পারছেনা। বেকার হয়ে পড়েছে জেলে সম্প্রদায়।
পীরগঞ্জ উপজেলা শহর লাছি নদীর তীরে অবস্থিত। এ নদীর অবস্থাও একই রকম। বর্ষা মৌসুম ছাড়া অন্য সময় পানি থাকে না। চরনা নদী বীরহলি হয়ে টাংগনে ও লাছি নদী চন্ডিপুর ভাকুরা ও জগথা গ্রাম হয়ে মিশেছে টাংগনে। কিন্তু নদী ২টি এখন মৃতপ্রায়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাতৃগাঁও গ্রামের বেকার জেলে দেবারু মোহাম্মদ, জয়নাল আলী, আকালু, সুনীল চন্দ্র জানান, টাঙ্গন নদীতে এখন আর পানির প্রবাহ নেই। নদীগুলো মরা নদীতে পরিনত হয়েছে। নদীতে পানি না থাকায় তারা আর আগের মত মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন না। নিরুপায় হয়ে সংসার চালাতে দিন-মজুরির কাজে তারা আত্মনিয়োগ করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নদীগুলো রক্ষার জন্য ড্রেজিং করা দরকার বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনকে। ঢোলার হাট এলাকায় শুক নদী খননের জন্য এলাকাবাসী পানি সম্পদ মন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন ২ বছর আগে। কিন্তু এখনো এটি খননের বরাদ্দ মিলেনি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের নদীগুলো বেশীর ভাগই শীন্নকায়া বিশিষ্ট। এগুলোর কোনটারই নাব্যতা নেই এবং নৌকাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করেনা।
অপরদিকে ঠাকুরগাও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জাম সেলিম জানান, ড্রেজিং করার বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং প্রাথমিক কাজ সম্পন্নও করা হয়েছে।
এক সময় এসব নদীতে সারা বছর পানি প্রবাহিত হলেও এখন আর এখানে পানি দেখা যায় না। দীর্ঘদিন প্রবাহিত এ নদীগুলো এখন দিনদিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীর নাব্যতা হারিয়ে নালায় পরিনত হয়েছে। কোথাও কোথাও পানির ক্ষীণ ধারা দেখা যায় মাত্র।
এই ৩ নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠেছে রাতারাতি কয়েকটি বস্তি। ডিসিবস্তি, নিশ্চিন্তপুর ও হঠাৎবস্তি এর অন্যতম। ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী ১১টি নদীতে মহা সমারোহে ধান চাষ। যার ফলে নদীগুলো মরে যাচ্ছে। আবাদে কিটনাশক ব্যবহার করায় নদীর দেশিও মাছও বিলুপ্তির পথে। শেষ হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় দেশীয় মাছ। খালবিল নদীনালা পানি না থাকায় স্থানীয় জাতের মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। পানির প্রবাহ না থাকায় এ নদীগুলো মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। সেগুলো হলো- টাঙ্গন, সেনুয়া, তীরনই, শুক, নাগর, লাছি, কুলিক, ভুল্লি, ঢেপা ও নহনা। এছাড়াও প্রায় সবকটি নদীতে এখন ইরি-বোরো ধান আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে বোরো ধানের চাষ হচ্ছে।
সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বুক চিরে প্রবাহিত হয়েছে ভুল্লি নদী। এ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ভূল্লি বাজার। তীরনই নদীর তীরে গড়ে উঠেছে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শহর। তীরনই নদীটি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উত্তরে আটোয়ারী উপজেলার দক্ষিণে রানীশংকৈল উপজেলার জগদল হয়ে ভারতের নাগর নদীতে গিয়ে মিশেছে। এই নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। কুলিক নদীটি বালিয়াডাঙ্গী বেংরোল জিয়াবাড়ী হয়ে রানীশংকৈলের নাগর নদীতে মিশেছে। এই নদীর দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার। তীরনই ও কুলিক নদীতে রানীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর উপজেলার সহশ্রাধিক জেলে এক সময় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। নদীতে পানি না থাকায় জেলেরা এখন আর মাছ ধরতে পারছেনা। বেকার হয়ে পড়েছে জেলে সম্প্রদায়।
পীরগঞ্জ উপজেলা শহর লাছি নদীর তীরে অবস্থিত। এ নদীর অবস্থাও একই রকম। বর্ষা মৌসুম ছাড়া অন্য সময় পানি থাকে না। চরনা নদী বীরহলি হয়ে টাংগনে ও লাছি নদী চন্ডিপুর ভাকুরা ও জগথা গ্রাম হয়ে মিশেছে টাংগনে। কিন্তু নদী ২টি এখন মৃতপ্রায়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাতৃগাঁও গ্রামের বেকার জেলে দেবারু মোহাম্মদ, জয়নাল আলী, আকালু, সুনীল চন্দ্র জানান, টাঙ্গন নদীতে এখন আর পানির প্রবাহ নেই। নদীগুলো মরা নদীতে পরিনত হয়েছে। নদীতে পানি না থাকায় তারা আর আগের মত মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন না। নিরুপায় হয়ে সংসার চালাতে দিন-মজুরির কাজে তারা আত্মনিয়োগ করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নদীগুলো রক্ষার জন্য ড্রেজিং করা দরকার বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনকে। ঢোলার হাট এলাকায় শুক নদী খননের জন্য এলাকাবাসী পানি সম্পদ মন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন ২ বছর আগে। কিন্তু এখনো এটি খননের বরাদ্দ মিলেনি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের নদীগুলো বেশীর ভাগই শীন্নকায়া বিশিষ্ট। এগুলোর কোনটারই নাব্যতা নেই এবং নৌকাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করেনা।
অপরদিকে ঠাকুরগাও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জাম সেলিম জানান, ড্রেজিং করার বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং প্রাথমিক কাজ সম্পন্নও করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই