২৪২৩ কোটি টাকার যন্ত্র কেনা হচ্ছে রূপপুরের জন্য - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

২৪২৩ কোটি টাকার যন্ত্র কেনা হচ্ছে রূপপুরের জন্য



রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিএস) নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী । আর এজন্য দুই হাজার ৪২৩ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। রাশিয়ান ফেডারেশনের নির্বাচিত কোম্পানি ইলেরোন এসব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুসারে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত আইজিএর আওতায় এ সংক্রান্ত একটি প্রটোকল গত ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষর করা হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিএস) নির্মাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা গ্রহণের জন্য সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাশিয়ান ফেডারেশনের কাছে টেকনিক্যাল এবং আর্থিক প্রস্তাব চাওয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ান ফেডারেশনের তিনটি কোম্পানি- ইলেরোন, এনইপিটি এবং এনআইআরইটির দর প্রস্তাব পাওয়া যায়, যা পরবর্তীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগে প্রেরণ করা হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, তিনটি কোম্পানির মধ্যে ইলেরোন থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্ট ও টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন সঠিক থাকায় এবং সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ইলেরোনকে নির্বাচনের জন্য কমিটির সুপারিশ করা হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাশিয়ান ফেডারেশনের ইলেরোন প্রস্তাবিত দর দুই হাজার ৪২৩ কোটি ৫৯ লাখ ৯৭ হাজার একশ টাকা ক্রয় প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দুই হাজার চারশ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পরিকল্পিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, যা বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। ১৯৬১ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার পর ১৯৬৩ সালে প্রস্তাবিত ১২টি এলাকার মধ্য থেকে রূপপুরকে বেছে নেওয়া হয়। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থা রোসাটমের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুয়ায়ী, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে রুশ সরকার এবং কেন্দ্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ করবে এবং ব্যবহৃত জ্বালানিও ফেরত নেবে তারা।

রাশিয়া থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত সর্বাধুনিক তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি দিয়ে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। দুই ইউনিটের দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কেন্দ্রটির জন্য ২৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। নির্মাণ ব্যয়ের ১০ শতাংশ অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার, বাকি ৯০ শতাংশ ঋণ দেবে রাশিয়া।

কোন মন্তব্য নেই