প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমানের ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমানের ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ

ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে পুরো দেশ এখন লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। দেশের সকল ধরনের অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা থেকে শুরু করে সব কিছুই এখন বন্ধ। আর এ কারণেই কোন কাজ করতে পারছে না নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।মানুষের এমন দুর্দিনে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নাসিক প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমান।

করোনা পরিস্থিতির শুরুর সময় থেকে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষদের জন্য। লক ডাউন শুরু হওয়ার আগে তিনি মানুষদের সচেতনার জন্য কাজ করেছেন। তার এলাকা ও এলাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষদের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার,হ্যান্ড গ্লাবস, সাবান ইত্যাদি বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করেছেন।

পরবর্তীতে যখন লকডাউন শুরু হলো আস্তে আস্তে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কাজের ক্ষেত্র গুলো বন্ধ হতে থাকলো তখন তিনি নিজে ঘরে ঘরে গিয়ে রাতের আধারে সাধারন মানুষদের খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় সাধারণ মানুষের কাঁচা তরকারির চাহিদা পূরণের জন্য বিনামূল্যে সব্জির ব্যবস্থা করেছেন মতিউর রহমান। চারজন সদস্যের একটি পরিবারের ৩ থেকে ৪ দিন চলার মতো ব্যবস্থা তিনি করেছেন।

নাসিক প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমানা আমাদের সময়কে বলেন, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের তান্ডবের কারণে আজ পুরো বিশ্ব স্থবির। একই রকম পরিস্থিতি আজ আমাদের দেশেও। আমাদের এখানে ভাইরাসের আক্রমনের শুরু থেকেই আমরা আমার এলাকার সাধারণ মানুষদের সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করি। প্রথম দিকে আমরা মানুষকে সচেতন করেছি। ঘরে ঘরে গিয়ে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাবস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান দিয়েছি। বর্তমানে আমরা আমার এলাকার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছি। অনেকে অন্য এলাকা থেকে এসেও নিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয় আমরা শুকনা খাবারের পাশাপাশি কাঁচা তরিতরকারিও বিতরণ করছি। আমাদের এই কার্যক্রমগুলো চলমান থাকবে। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা থেকে এক নারী আমাদের এলকায় আসেন। শুনেছি তার শ্বশুর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত কর এবং ওই বাড়িটি লকডাউন করি। আগামী ১৪দিন তাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেই। কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় তাদের পুরো পরিবারের দায়িত্ব আমি নিবো। ইতোমধ্যে তাদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী যেমন চাল,ডাল,মাছ, মাংস, তরিতরকারি সবকিছু পাঠানো হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই