রাজধানীর প্রকৃতিতে ফিরেছে প্রাণ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

রাজধানীর প্রকৃতিতে ফিরেছে প্রাণ














কভিড সংকটে অঘোষিত লকডাউনে থেমে গেছে সব। আর এ সুযোগে যান্ত্রিক কোলাহল, আর বাতাসে ধুলার পরিমান কমায় রাজধানীর প্রকৃতিতে ফিরেছে প্রাণ। বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকালিতে এখন মুখর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। সড়কের পাশেও দেখা মিলছে সবুজের সমারোহ।

রাজধানীতে বক আছে এবং তার দেখা মিলেছে নগরবাসীর তা হয়তো মনে করা দুষ্কর। পাখির কলতানে মূখর প্রকৃতি, শীতল বাতাসে ভাসছে ঝিঁজি পোকার ডাক। ধুলামুক্ত সবুজ প্রকৃতির সাথে তাইতো খুনশুটিতে মেতেছে দোয়েল শালিক সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।

সড়কের পাশে নানা রকম ফুলের রক্তিম আভা নগরের সৌন্দর্যকে বাড়িয়েছে বহুগুন। বিপদের এ সময়ও কেউ কেউ বেরিয়েছেন প্রকৃতির বিশুদ্ধ বাতাসের সন্ধানে।

প্রকৃতি দেখতে এসে এক জন বলেন, এখন পরিবেশটা এতো ঠান্ডা এবং নীরব। এতে যে বাতাসটা বয়েছে এখন শীতল একটা বাতাস রয়েছে। রাজধানী এতো শীতল এর আগে এমন চিন্তা করা যায়নি।

আরো এক জন বলেন, প্রকৃতি অনেক সুন্দর, রাস্তায় কোনো ধুলা নাই। আমি আজকে সাইকেল নিয়ে বের হয়েছি।

আরো এক জন মনে করেন, এখন কোনো ধুলা-ময়লা নাই। পরিবেশটা এখন সুন্দর। আমরা সবসময় এটা কামনা করি। ঢাকা শহরের পরিবেশ যাতে সুন্দর থাকে এমন প্রত্যাশা করি।

পরিবেশ অধিদফতরের মানমাত্রায় রাজধানীর পরিবেশ এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে ভাল। ৫০ একিউআইকে স্বাভাবিক বায়ুমান বলা হলেও রবিবার দুপুরে ঢাকায় এর মানমাত্রা ছিলো ৭০ একিইউআই। যেখানে রাজধানীতে অন্য যে কোনো সময় ছিল এর তিনগুন উপরে। রাজধানীতে দূষণ কমাতে ইকো সিস্টেমের উপর জোর দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের বলেন, রাজধানীতে এমন পরিবেশে গাড়ি যাতে কম চলে এবং গাড়ি থেকে ধোঁয়া যাতে কম বের হয় এবং ধুলা-দূষন যাতে বের না হয়। সাথে শিল্প-কারখানার দূষন আমরা না করি সেক্ষেত্রে আমাদের জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদীর জন্য অনেক ভালো। আমাদের সামগ্রিক ইকো সিস্টেম নিয়েও ভাবতে হবে।

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, এই মুহূর্তে জনগণের আর কিছু করার নেই কিন্তু পরবর্তী সময়ে ইনশাল্লাহ্ পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে এবং সবকিছু চলতে শুরু করবে তখন বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এরপর দূষণগুলোকে চিহ্নিত করে আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

কভিড সংকট কেটে যাবার পর পরিবেশের বর্তমান অবস্থা টেকসই করার পরিকল্পনা নেয়া জরুরী বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।

কোন মন্তব্য নেই