ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কে জীবননাশের ভয় সৌদি যুবরাজের - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কে জীবননাশের ভয় সৌদি যুবরাজের



 


ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলে নিজ জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান।


গত শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম হারেতজ-এ প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়,

‘ইসরায়েল বংশোদ্ভূত আমেরিকান বিলিয়নার হেইম সাবানকে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে তিনি যুক্ত হতে পারবেন না; কারণ স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি হলে ইরান, কাতার ও নিজ লোকদের হাতে তিনি নিহত পারেন।’


ওয়াশিংটনের ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনে দ্য সাবান সেন্টার ফর মিডল ইস্ট পলিসি প্রতিষ্ঠা করেন হেইম সাবান। গত ১৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাত ও বাহরাইনের চুক্তির স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ডেমক্রেটদের একজন ছিলেন তিনি।


গত বুধবার (২১ অক্টোবর) ফ্লোরিডার সঞ্চালনায় ডেমক্রেটের মনোনীত বাইডেন ও কমলা হারিসের পক্ষে প্রচারণায় ‘বাইডেনের হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও উন্নতি’ শীর্ষক অনলাইন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। 


ইভেন্টে জো বাইডেনের প্রশংসা করে ‘ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ৪৭ বছর’ নিয়ে আলোকপাত করেন ডেমোক্রেট পার্টির অন্যতম অনুদানদাতা হেইম সাবান।


এ সময় বাইডেনের সমর্থনে সাবান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জোট নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া সব ইহুদি জানেন যে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন।’


এর আগে ২৩ আক্টোবর সুদানও ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আলোচনার আগে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না বলে জানায় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।


ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় দলের মধ্যে। ইসরায়েলের সঙ্গে ‘আব্রাহাম একরড’ সম্পন্নের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা অবদান হলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাতা ও জ্যোষ্ঠ উপদেষ্টা জ্যারেদ কুশনারের।


সাবান বলেন, ‘এ চুক্তির সব অবদান জ্যারেদ কুশনার ও অ্যাভি বারকোভিজের। তাঁরা সত্যিই এ চুক্তির জন্য অনেক কষ্ট স্বীকার করেন।’


ইসরায়েলের সঙ্গে আরব রাষ্ট্রের স্বাভাবিক সম্পর্ক আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (৩ নভেম্বর) বিজয়ের জন্য ট্রাম্পের অনন্য কৃতিত্ব হিসেবে মনে করা হয়।আ



কোন মন্তব্য নেই