শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ
সমৃদ্ধির অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। ২০২০ সালে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেশকে নিয়ে গেছে উন্নয়নের মহাসড়কে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। টানা ১২ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আর বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে নানাভাবে মূল্যায়ন করেছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব আর কৌশলী অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ আজ নব-পরিচয়ে পরিচিতি পাচ্ছে।
বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে ইতিবাচক সূচক তুলে ধরছে বিশ্ব সংস্থাগুলোও।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশের সম্ভাব্য মাথাপিছু জিডিপি চার শতাংশ বেড়ে হতে পারে এক হাজার ৮৮৮ ডলার। সেখানে ভারতের সম্ভাব্য মাথাপিছু জিডিপি ১০ দশমিক পাঁচ শতাংশ কমে হতে পারে এক হাজার ৮৭৭ ডলার। অর্থাৎ এই প্রথম মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে ১১ ডলার এগিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর একটি মন্তব্য রয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ভালো করছে। এর কারণ হচ্ছে তারা তাদের কম দক্ষতাসম্পন্ন পণ্যের রপ্তানি বজায় রেখেছে। এই বিষয়টি গরিব দেশের কর্মবয়সি জনসংখ্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশের চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছে ভিয়েতনাম। কিন্তু মৌলিকভাবে উভয়েই চীনের কাছ থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। কম দক্ষতাসম্পন্ন পণ্যের উৎপাদনের মাধ্যমে বড় আধিপত্য বিস্তার করে, তার মাধ্যমে তারা উচ্চ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।’
একই প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ বলেন, ‘সুশাসন আর দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে যেতে পারছে না। তবে সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে দৃশ্যমান উন্নয়ন তো লক্ষ করার মতো। গণতন্ত্র, ভোটব্যবস্থা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন আছে, কিন্তু সামাজিক নিরাপত্তায় মানুষের মাঝে উন্নয়নের সুবিধা মিলছে, তা তো অস্বীকার করা যাবে না। তবে উন্নয়নকে টেকসই রূপ দিতে হলে গণতন্ত্র এবং সুশাসনকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠা দিতে হবে।’
অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদও মনে করেন, বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া এক প্রকার বিস্ময়।
কোন মন্তব্য নেই