সাবেক প্রেমিকার কাছে ক্ষমা চাওয়ার ৮ টিপস - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

সাবেক প্রেমিকার কাছে ক্ষমা চাওয়ার ৮ টিপস

 


বিচ্ছেদ হওয়ার পরের দিনগুলোতে কঠিন সময় যায়। মানুষের ভেতরে হারানোর বোধ তৈরি হয়, হতাশা ও বেদনা ভর করে। আর এর কারণ, বিচ্ছেদের সময় আবেগের আতিশয্য থাকে। এই আবেগ মস্তিষ্কে বিভিন্ন ক্রিয়া করে। যে সম্পর্কটি ছিল বিশেষ, যা আপনাকে পুলকিত করত, সে সম্পর্কে ছেদ পড়াটা মেনে নেওয়া কষ্টের।


কিন্তু আপনি যদি সেই বিচ্ছেদ মেনে নিতে না পারেন আর ওই মানুষটিকে ফিরে পেতে চান, সে জন্য আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি নিজের ভুল বুঝতে পারেন আর শুধরে নিতে চান, তবে সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। কিন্তু সাবেক প্রেমিকা বা সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চাওয়া কি আপনার কাছে বিব্রতকর মনে হচ্ছে? এর কারণ হতে পারে, বিচ্ছেদের পর নানা ঝক্কি-ঝামেলা। তবে আপনি যদি সাবেক সঙ্গীকে ফিরে পেতে চান, ক্ষমা তো চাইতেই হবে।


ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই সাবেক সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চাইবার আটটি পরামর্শ দিয়েছে। আসুন, একবার চোখ বুলিয়ে নিই—


মনকে প্রস্তুত করুন

প্রথমে আপনার মনকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রস্তুত করুন। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, তুমি কি অতীতের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য তৈরি? সাবেক প্রেমিকা বা সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চাওয়া খারাপ কিছু নয়। কিন্তু এর জন্য যদি তাড়াহুড়ো করেন, তবে তা হিতে বিপরীত হতে পারে। মানে, আগে আপনাকে নিজের ভুলগুলো উপলব্ধি করতে হবে।


ক্ষমা চেয়ে বার্তা

সাবেক সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার একটি সহজ উপায় হচ্ছে খুদে বার্তা পাঠানো। একটি সাধারণ বার্তাও পাঠাতে পারেন। যে বার্তা বোঝাতে সক্ষম হবে, আপনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। কোনো প্রকার অস্বস্তি ছাড়াই সাবেক সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বার্তা পাঠাতে পারেন।


কল করুন

আপনি যদি স্বস্তিবোধ করেন, তবে সাবেক সঙ্গীকে কল করতে পারেন এবং সরাসরি ক্ষমা চাইতে পারেন। কিন্তু তাঁর নাম্বার ডায়ালের আগে একবার ভাবুন, খুব দ্রুত হয়ে যাচ্ছে কি না। অর্থাৎ কয়েক দিন আগেই যাঁর সঙ্গে আপনার বাজে পরিস্থিতি হলো, তা কি সঙ্গীকে বিব্রত করতে পারে? আপনি সাবেককে কল করতেই পারেন, তবে একটু সময় নিন।


মুখোমুখি সাক্ষাতের চেষ্টা করুন

সাবেক সঙ্গীর মুখোমুখি বসে সরাসরি ক্ষমা চাইতে পারেন। তবে দুজন মুখোমুখি বসলে স্বস্তিবোধ করবেন কি না, তা আগে ভেবে নিন। এরপর দুজন মিলে কোথাও বেড়াতে যান অথবা কফি খেতেও বসতে পারেন। এরপর আপনার মনের কথা খুলে বলুন।


কী বলবেন স্পষ্ট হোন

নিজের চিন্তাভাবনা, মত ও অনুভূতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা আবশ্যক। বিনয়ের সঙ্গে আপনি ক্ষমা চাইতে পারেন। তা না হলে আপনার সাবেক সঙ্গী আপনাকে গ্রহণ করবেন না। আপনি কী বলতে চাইছেন তা নিয়ে যদি নিজেই সন্দিহান থাকেন, তাহলে ফের ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হবে। বারবার একই কথা না বলে যা বলার স্পষ্ট করে বলবেন।


সরল ও সংক্ষিপ্ত করুন

মনে রাখবেন, আপনি সাবেক প্রেমিকা বা সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন। তাই অহেতুক এমন কোনো কৌতুক বা কথা ব্যবহার করবেন না, যা হিতে বিপরীত হয়। কোনো প্রকার অন্য প্রসঙ্গে না জড়িয়ে সরাসরি ক্ষমা চান।


সাবেক সঙ্গীকে কথা বলতে দিন

এক পক্ষীয় আলাপ কখনো ভালো ফল বয়ে আনে না। সাবেক সঙ্গীকেও কথা বলতে দিন। আপনি যেমন আপনার ভেতরের সব কথা বলতে চান, হতে পারে তিনিও বলতে চান। এভাবে দুজন দুজনের মনোভাব বুঝতে সহায়ক হবে।


দোষারোপ করবেন না

এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন সাবেক সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চাইতে যাচ্ছেন, তখন কোনো প্রকার দোষারোপ করবেন না। আপনাদের আলাপচারিতা যেন সুস্থ হয়। অন্যের ভুলগুলো ধরার চেয়ে নিজের ভুলগুলো স্বীকার করা উত্তম। আর তা না হলে সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক আরো খারাপ হতে পারে। দোষারোপ করা থেকে বিরত হোন।

কোন মন্তব্য নেই