লেনদেনে বিমা খাতের আধিপত্য
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে বিনিয়োগকারীদের চাহিদার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বিমা কোম্পানির শেয়ার। এ কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারে ছিল ক্রেতার ভিড়। এ কারণে বিক্রেতারাও দর বাড়িয়ে দেন। কিন্তু তারপরও এ খাতের শেয়ারে আগ্রহ দেখান ক্রেতারা। তারা বাড়তি দরে শেয়ার কিনে নেন। এর জের ধরে দিন শেষে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত ৪৯ কোম্পানির মধ্যে মাত্র দুটি কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা যায়।
চাহিদা থাকার কারণে গতকাল মোট লেনদেনেও বিমা খাতের আধিপত্য দেখা গেছে। দিন শেষে মোট লেনদেনে বিমা খাতের একক অবদান দেখা যায় ১৮ শতাংশের বেশি। লেনেদেন এর পরের অবস্থানে
ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। গতকাল দিন শেষে খাতটির বেশিরভাগ শেয়ারদর অপরিবর্তিত থাকলেও লেনদেনে এগিয়ে ছিল। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ১৭ শতাংশ। এছাড়া
মোট লেনদেনে ব্যাংক, বিবিধ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সন্তোষজনক অবদান দেখা গেছে।
গতকাল দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে পাঁচ হাজার ৩৪৩ পয়েন্টে। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল, যার জের ধরে বাড়তে দেখা যায় সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। দিন শেষে লেনদেন হওয়া ৩৫২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বাড়ে ১৩৪টির শেয়ার ও ইউনিটের। পাশাপাশি ৮৪টির দর হ্রাস পায়। ১৩২টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
অন্যদিকে শেয়ারদর বাড়লেও গতকাল আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে ডিএসইর লেনদেন। দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৩৮২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হতে দেখা যায়, যা ছিল গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন। এর আগে ২০২০ সালের ২৩ জুলাই গতকালের চেয়ে কম লেনদেন হয়। সেদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের মধ্যে ৩০ কোটি টাকা ছিল ব্লক মার্কেটের লেনদেন। গতকাল এ মার্কেটে মোট ২৫ কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়।
কোন মন্তব্য নেই