অ্যাড ট্র্যাকিংয়ের ইতি ঘটছে কি? - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

অ্যাড ট্র্যাকিংয়ের ইতি ঘটছে কি?


ধরুন আপনি অনলাইনে একজোড়া জুতা পছন্দ করলেন। কিন্তু কোনো কারণে সেটা আর কেনা সম্ভব হলো না। এরপর হঠাৎ আপনি খেয়াল করলেন ইন্টারনেটে আপনি যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই এ জুতার বিজ্ঞাপন চলে আসছে! ব্যাপারটা আশ্চর্যজনক হলেও প্রযুক্তির ভাষায় একে অ্যাড ট্র্যাকিং বলা হয়। তবে প্রযুক্তি জগতে যে পদ্ধতির কারণে আপনি সব জায়গায় এ বিজ্ঞাপনের দেখা পেতেন, সেখানে লাগাম টানতে যাচ্ছে দুই টেক জায়ান্ট। যার ফলে অনলাইন বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে নতুন দিকের উন্মোচন হতে যাচ্ছে। খবর বিবিসি।


আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অ্যাপল তাদের আইফোন ও আইপ্যাডের অপারেটিং সিস্টেমে একটি পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। যেখানে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি অনুসরণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয় রাখতে হবে। সব অ্যাপ ডেভেলপারকে এ বিষয় মানতে হবে।


অন্যদিকে গুগল জানায়, তারা বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন মাধ্যম এবং ক্রোম ব্রাউজার থেকে থার্ড পার্টি কুকিজ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এর ফলে ব্যক্তি পর্যায়ে একজন ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট ব্যবহার আরো সুরক্ষিত হবে।


টেক টেন্টকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে ইনসাইডার নিউজ সাইটের লারা ও রেইলি বলেন, বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় এটি বড় ধরনের আঘাত হানবে। তিনি বলেন, থার্ড পার্টি কুকিজ কিংবা বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য অ্যাপলের আইডেন্টিফায়ার শুধু আপনাকে জুতার বিজ্ঞাপন দেখিয়ে বিরক্ত করার জন্য নয়। এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা পণ্যের বাজার অবস্থা, গ্রাহক চাহিদাসহ বেশকিছু বিষয়ের তথ্য নিয়ে থাকেন।


এ ধরনের ট্র্যাকিং শুধু ফেসবুকের লাইক বাড়ানোর জন্য কাজে লাগে না। সেই সঙ্গে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিজ্ঞাপন প্রদানের চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে বলেও জানান তিনি।


২০১০ সালে ট্র্যাকিংয়ের অপ্ট ইন নীতির ব্যাপারে অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস একটি উক্তি দিয়েছিলেন।


তিনি বলেছিলেন, আমি বিশ্বাস করি মানুষ বুদ্ধিমান। সেই সঙ্গে কিছু মানুষ অন্যদের তুলনায় বেশি তথ্য জানাতে আগ্রহী। তাদের জিজ্ঞাসা করুন, প্রতি মুহূর্তে জিজ্ঞাসা করুন। তারা যেন আপনার জিজ্ঞাসায় বিরক্ত হয়ে আপনাকে থামতে বলে। আপনি তাদের তথ্য নিয়ে কী করবেন, সেটা তাদের জানান। তবে গ্রাহকদের একটি বড় অংশ যে ট্র্যাকিংয়ের শিকার হতে চান না, সে ব্যাপারে অধিকাংশ বিজ্ঞাপনদাতা নিশ্চিত।


কেউ কেউ এ নতুন পদ্ধতি এড়িয়ে যাওয়ার উপায়ও খুঁজছেন। চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাপলের আইডেন্টিফায়ারের বিকল্প টুলও তৈরি করে ফেলেছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অবশ্য কেউ কেউ ট্র্যাকিংয়ের পরিবর্তে নিজের পণ্যের ব্যাপারে গ্রাহকদের চাহিদা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার ভিন্ন পথও খুঁজছেন বলে জানা গেছে।


ভোক্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে বিশ্বের আড়াই কোটির বেশি ভোক্তার অনুমতি সাপেক্ষে অনলাইন অ্যাক্টিভিটি পর্যবেক্ষণে প্যানেল তৈরি করেছে এক ব্যাখ্যায় তা তুলে ধরেন কান্তারের মিডিয়া ইনসাইটস প্রধান জেইন অস্টলার। তিনি বলেন, এ প্যানেলের মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যবহারকারী যেসব বিজ্ঞাপন দেখেছেন, সেগুলোর ব্যাপারে কী ভাবছেন তা নিরূপণ করতে পারি।

কোন মন্তব্য নেই