ন্যাশনাল পলিমারের লেনদেনে বিনিয়োগকারীরা হতবাক
দ্বিতীয় দফায় ফ্লো প্রাইস প্রতাহার করা কোম্পানি ন্যাশনাল পলিমারের শেয়ার দুই দিন সর্বোচ্চ বৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হওয়ার পর এবার উল্টো দিকে দৌড় শুরু করেছে। আগের দুই দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ করে বেড়ে ডানে হল্টেড থেকেছে। আজ তৃতীয় দিন সর্বনিম্ন ২ শতাংশ কমে বামে হল্টেড হয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাইট শেয়ার অ্যাডজাস্ট হওয়ার পর গত ১০ জানুয়ারি কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ৫৬ টাকা ৬০ পয়সায় স্থির হয়। এরপর থেকেই কোম্পানিটি ফ্লোর প্রাইসের চৌহদ্দিতে বন্দী থাকে। এই সময়ে ফ্লোর প্রাইসে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ার লেনদেন হয় ৫ লাখ ২২ হাজার শেয়ার। তবে ফ্লোর প্রাইসের শিঁকল কখনো অতিক্রম করতে পারেনি কোম্পানিটি।
গত ৩ জুন ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে তিনদিন সর্বনিম্ন ২ শতাংশ করে কমে ৫৩ টাকা ৪০ পয়সায় দাঁড়ায়। এই তিন দিনে শেয়ারটির সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ২৫ হাজার শেয়ার।
গত বুধবার (৯ জুন) কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন ও দরে হঠাৎ তেজ দেখা যায়। এদিন কোম্পানিটির দর ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৫৮ টাকা ৭০ পয়সায়। দর বাড়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের কাছাকাছি। লেনদেন হয় ১ কোটি ১৮ লাখ ১৯ হাজারের বেশি শেয়ার। যা কোম্পানিটির গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার শেয়ার।
পরের দিন বৃহস্পতিবার (১০ জুন) লেনদেনের শুরুতেই কোম্পানিটির দর ৬৪ টাকা ৪০ পয়সায় উঠে যায়। অর্থাৎ সর্বোচ্চ দর যতটা বাড়া সম্ভব, ততটা। ১০ শতাংশের কাছাকাছি। দিনভর সর্বোচ্চ দরে হল্টেড অবস্থায় লেনদেন হয় ৬৪ লাখ ২৮ হাজারের বেশি শেয়ার। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটির লাখ লাখ শেয়ারের ক্রেতার অবস্থান দেখা যায়।
কিন্তু আজ (১৩ জুন) কোম্পানি ভিন্ন দৃশ্যপটে আর্বিভূত হয়। আজ লেনদেন শুরুর আগেই ফ্রি ওপেনিংয়ে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ কম দরে অর্থাৎ ৬৩ টাকা ২০ পয়সায় ৩০ লাখের বেশি শেয়ারের বিক্রেতারা অবস্থান নেয়। দিনভর সর্বনিম্ন ৬৩ টাকা ২০ পয়সা দরে ৩ লাখ ৪৫ হাজারের কিছু বেশি শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত ২৮ লাখের বেশি ক্রেতার শোডাউন থাকে।
কোম্পানিটির এই ধরনের লেনদেনের দৃশ্য দেখে বিনিয়োগাকারীরা রীতিমতো হতবাক। আগেরদিন যেখানে ১০ শতাংশ বেশি দরে দিনভর ৬৪ টাকা ৪০ পয়সায় লাখ লাখ ক্রেতার সমাগম ছিল, সেখানে আজ ২ শতাংশ কম দরে লেনদেনের আগেই ৩০ লাখের বেশি বিক্রেতার শোডাউন! এটা কী সত্যি সত্যি শেয়ার বিক্রি করার জন্য। না অন্য কোন উদ্দেশ্য? বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির লেনদেন খতিয়ে দেখার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে দাবি জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই