হতাশায় আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা
১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার পরও সেই হারে দর না বাড়ায় আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার নিয়ে হতাশায় বিনিয়োগকারীরা। অনেক বিনিয়োগকারীই মনে করছেন সন্তোষজনক হারে ডিভিডেন্ড না দেয়ায় শেয়ার দর ধারাবাহিকভাবে কমে আগের অবস্থানে চলে এসেছে।
গত ৯ মে কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড ঘোষণার দিন কোম্পানিটির দর ছিল ২১ টাকা ৫০ পয়সা। বর্তমানে একই দরে নেমে এসেছে কোম্পানিটির শেয়ার দর। কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৪১ পয়সা আয় করলেও বিনিয়োগকারীদেরকে দেয়া হয়েছে এক টাকা ৫০ পয়সা। যে কারণে এ কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ কমে যাওয়ায় ধারাবাহিকভাবে দর কমেছে।
জানা যায়, এ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর ৯ কার্যদিবসে অর্থাৎ ১১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ টাকায়। এরপর ২৭ মে থেকেই কোম্পানিটির দর ধারাবাহিকভাবে কমে আবারও আজ ২১ টাকা ৫০ পয়সা লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ ডিভিডেন্ড ঘোষণার আগে যে দর ছিল বর্তমানে সেই দরে অবস্থান করছে কোম্পানিটির শেয়ার।
উল্লেখ্য, এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য আগামী ৯ আগস্ট, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ কোম্পানির ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ জুন।
সমাপ্ত অর্থবছরে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) ২ টাকা ৪১ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (সলো ইপিএস) ২ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ২৭ পয়সা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ২২ টাকা ৩৫ পয়সা।
ইতিমধ্যে কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মাচ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ২৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২৫ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৬১ পয়সা।
অনেক বিনিয়োগকারী মনে করছেন ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় কমায় আরো বেশি হতাশ করেছে। এর প্রভাবেও এ শেয়ারের দর কমে থাকতে পারে। তবে মুল কথা হলো ডিভিডেন্ড পেয়েও মুনাফা করতে পারেনি কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা।
আজ এ কোম্পানির ৯ লাখ ১৩ হাজার ১৩টি শেয়ার ৫০৮ বার হাতবদল হয়েছে, যার বাজার মূল্য এক কোটি ৯৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। আজ এ কোম্পানির শেয়ার দর ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৬৬ শতাংশ কমেছে। এতে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড নেয়া বিনিয়োগাকারীরা লোকসানে রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই