বিশ্বে রিফারবিশড স্মার্টফোনের বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে ৪% - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

বিশ্বে রিফারবিশড স্মার্টফোনের বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে ৪%


২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে রিফারবিশড ফোনের বাজার বেশ সম্প্রসারিত হয়েছে। মহামারীর ধাক্কায় বছরের প্রথমার্ধে শ্লথগতি থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে এ খাতে ২০১৯ সালের তুলনায় ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বাজার বিশ্লেষক ও গবেষকদের আশা ২০২১ সালে এ খাতের প্রবৃদ্ধি আরো চাঙ্গা হবে। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের এক প্রতিবেদনে এমনই আভাস দেয়া হয়েছে।


২০২০ সালের প্রথমার্ধে করোনার কারণে প্রযুক্তি বাজারে এ খাত লোকসানের মুখে ছিল। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ায় রিফারবিশড ফোনে সরবরাহও বৃদ্ধি পায়।


বাজারের গতিশীলতা নিয়ে কাউন্টারপয়েন্টের সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট গ্লেন কার্ডোজা বলেন, ২০২০ সালের প্রথমার্ধে বাজারে স্মার্টফোনের সরবরাহ সীমিত ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে চাহিদা ও সরবরাহ দুটোই বেড়েছে।


তিনি আরো বলেন, বাজার চালু হওয়ার পর রিফারবিশড স্মার্টফোন বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য বিক্রি ও রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। ২০২০-এর দ্বিতীয়ার্ধে সব অঞ্চলেই বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। তবে লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার বাজার কিছুটা শ্লথগতিতে এগিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ভারত ও আফ্রিকায় চাঙ্গা ভাব লক্ষণীয়। সেই সঙ্গে দেশগুলো রিফারবিশড ফোনের উৎপাদন ও সরবরাহ-সংক্রান্ত কার্যক্রম বাড়ানোর চেষ্টা করে।


রিফারবিশড ফোনের বাজারে অ্যাপল নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছিল। এ বিষয়ে রিসার্চ ডিরেক্টর জেফ ফিল্ডহ্যাক বলেন, রিফারবিশড ফোন হলেও বাজারে অ্যাপলের চাহিদায় কোনো কমতি দেখা যায়নি। পারতপক্ষে গত কয়েক বছরে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অ্যাপলের চাহিদা ও সুনাম আরো বেড়েছে। ২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধে নতুন স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে বিশ্বে অ্যাপলের শেয়ার ছিল মাত্র ১৩ শতাংশ। যেখানে একই সময়ে সেকেন্ডারি মার্কেটে এ শেয়ারের হার ছিল ৪৪ শতাংশ।


এছাড়াও, সেকেন্ডারি বাজারে অ্যাপল ডিভাইসের গড় বিক্রীত মূল্য অন্য প্রতিযোগীদের তুলনায় তিনগুণ বেশি। এমনকি বিশ্বের ৭০টি দেশের ১৫০টি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান ফাইভজি প্রযুক্তি চালু করলেও এলটিই প্রযুক্তি সংবলিত রিফারবিশড অ্যাপল ডিভাইসের চাহিদা ও গড় বিক্রীত মূল্য বেড়েছিল।


এটি অ্যাপলের সেকেন্ডারি বাজার বাড়াতে সাহায্য করছে। কেননা এখানকার অধিকাংশ ক্রেতাই প্রথমবারের মতো অ্যাপলের রিফারবিশড পণ্য ক্রয় করছেন।


কার্ডোজা বলেন, সেকেন্ডারি বাজারের কেন্দ্র হিসেবে চীন ধীরে ধীরে তালিকা থেকে সরে যাচ্ছে। দেশটিতে পণ্যের উচ্চ চাহিদা থাকলেও স্মার্টফোনের প্রধান প্রধান যন্ত্রাংশের দাম বেড়েছে। এছাড়াও সেখানে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নজরও রয়েছে।


চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে যে যুদ্ধ চলছে, সেটি আরো শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। যে কারণে অনেক ক্রেতা পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আরো বেশি যাচাই-বাছাই করছেন। বাজার বিশ্লেষকদের আশা আফ্রিকা, জাপান, ভারত ও ইউরোপে রিফারবিশড স্মার্টফোনের বাজার পরিধি আরো বাড়বে।


এসব অঞ্চলে রিফারবিশড স্মার্টফোন বিক্রির জন্য প্রতিষ্ঠিত কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং আরো প্রতিষ্ঠান এসব অঞ্চলে তাদের ব্যবসা চালু করছে। এসব অঞ্চলে ফ্ল্যাগশিপ ও প্রিমিয়াম রেঞ্জের স্মার্টফোনের চাহিদাও রয়েছে। তবে গ্রাহকরা সেগুলো মাঝামাঝি মূল্যে কিনতে আগ্রহী।

কোন মন্তব্য নেই