শত্রুদের পরিকল্পনা সত্ত্বেও সম্পর্ক বাড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ইরান ও ইরাক
তেহরান সফররত ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাজেমির সঙ্গে গতকাল (রোববার) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট রায়িসি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তেহরান এবং বাগদাদের মধ্যকার জোরালো সম্পর্ক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ইমাম হোসাইন (আ) এর শাহাদাত বার্ষিকীর চেহলাম উপলক্ষে ইরান থেকে যেসব ব্যক্তি পবিত্র কারবালা শহরে জিয়ারতে যেতে চান তাদের জন্য ইরাকের প্রধানমন্ত্রী ভিসামুক্ত সফরের সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণাকে ইরানি প্রেসিডেন্ট স্বাগত জানান এবং প্রশংসা করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট রায়িসি জানান, ইরানের শালামচে শহর থেকে ইরাকের বসরা নগরী পর্যন্ত দ্রুত রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাজেমি বলেন, ইরাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরান প্রথম থেকেই পাশে ছিল এবং এজন্য ইরাকের জনগণ সবসময় তেহরানের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের ব্যাপারে ইরাক সবসময় স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে এবং ইরানের জনগণ ও সরকারের প্রতি সবক্ষেত্রে ইরাক সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ইরানের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক যাতে বাড়ানো যায় তার উপায় নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট রায়িসির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রে তেহরান ও বাগদাদ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
কোন মন্তব্য নেই