এআইয়ের ক্ষতি কমাতে নতুন বিলের প্রস্তাব হোয়াইট হাউজের
হোয়াইট হাউজের অফিস অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পলিসি গত সপ্তাহে একটি অনুসন্ধান মিশন চালু করেছে। যার মাধ্যমে মুখ দেখে মানুষ শনাক্তকরণ ও অন্যান্য বায়োমেট্রিক টুল ব্যবহার করে মানুষকে শনাক্ত করার পদ্ধতি দিয়ে মানুষের মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণের চেষ্টা করা হবে। জো বাইডেনের প্রধান বিজ্ঞান উপদেষ্টা এরিক ল্যান্ডার ও সায়েন্স অ্যান্ড সোসাইটির উপপরিচালক অ্যালোন্দ্রা নেলসন শঙ্কা প্রকাশ করেন, এআই ক্ষতিকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তারা বলেন, এসবের সুরক্ষার জন্য আমরা কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি। যেমন—এসব অধিকারকে সমর্থন করতে না পারলে সেসব সফটওয়্যার বা প্রযুক্তি কেনা থেকে বিরত থাকতে পারে মার্কিন সরকার। বিল অব রাইটসের অধীনে চুক্তি হতে পারে। নতুন আইন ও নিয়মনীতি মেনে চলতে সবাইকে উৎসাহ দেয়া যেতে পারে।
এআইয়ের ক্ষতিকর ব্যবহার সম্পর্কে এবারই প্রথম সতর্ক করল না বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু এবারই প্রথম এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে এগোচ্ছে তারা। বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তার প্রমাণ সংগ্রহ করতে শুরু করেছে ফেডারেল প্রশাসন। এজন্য এআই ডেভেলপার, বিশেষজ্ঞ ও অন্যদের বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
এরই মধ্যে ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স প্রোগ্রামগুলোতে লাগাম টেনে ধরার ব্যবস্থা করতে শুরু করেছে। এগুলো যেন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা না দেয়, সেজন্য পদক্ষেপ নিচ্ছেন ইউরোপ পার্লামেন্টের সদস্যরা।
পশ্চিমা গণতন্ত্রের দেশগুলোর রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, তারা এআইয়ের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার সঙ্গে এর অগ্রসরমানতার মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে চান। প্রতিটি নাগরিকের চাকরি, ঋণ বা শিক্ষার সুযোগের জন্য এআই ব্যবহার করে তথ্য বিশ্লেষণ করতে চান তারা।
সফটওয়্যার ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন বলছে, এআই-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে হোয়াইট হাউজের নেয়া পদক্ষেপকে সমর্থন করে তারা। কিন্তু এআই প্রতিষ্ঠানগুলোকেই যেন তাদের নিজেদের মূল্যায়নের সুযোগ দেয়া হয়, তেমন একটি নিয়ম প্রণয়ন করতে জোর দিচ্ছে তারা। অ্যাসোসিয়েশনটি বলছে, প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই খুঁজে দেখতে পারে তাদের এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলো কারো ক্ষতির কারণ হচ্ছে কিনা এবং যদি হয়ে থাকে তাহলে এ ক্ষতি প্রশমনের উপায় কী?
প্রযুক্তি বাজারে সফটওয়্যার ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন সাধারণত মাইক্রোসফট, আইবিএম, ওরাকল ও সেলসফোর্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সমর্থন দেয়। তাই তাদের বক্তব্যও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই গণনা করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই