দৈনিক চাহিদা ১০ কোটি ব্যারেল ছাড়াবে
বিশ্বব্যাপী সরবরাহ সংকটের চিত্র জ্বালানি পণ্যের বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বেশ প্রভাব রাখছে। এছাড়া জানুয়ারিতে ওপেক প্লাসের উত্তোলন বাড়ানোর প্রতিশ্রুত পরিমাণের চেয়ে কম তেল উত্তোলন করা হয় বলেও দেখা যায়।
ওপেক জানায়, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক ব্যবহার দৈনিক ১০ কোটি ব্যারেল ছাড়াবে। ওপেকের তথ্য অনুসারে, সর্বশেষ ২০১৯ সালে জ্বালানি পণ্যটির ব্যবহার দৈনিক ১০ কোটি ব্যারেলের বেশি হয়েছিল।
ওপেক প্লাসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদার পরিমাণ দিনপ্রতি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল বাড়বে। এতে গত মাসে ব্যবহারসংক্রান্ত করা পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের চাহিদা দিনপ্রতি বেড়েছে ৫৭ লাখ ব্যারেল। ২০২২ সালের চাহিদা পূর্বাভাসবিষয়ক প্রতিবেদনে ওপেক জানায়, এরই মধ্যে জিডিপির পরিমাণ প্রাক-মহামারী স্তরে পৌঁছেছে। অর্থনীতির বৈশ্বিক পুনরুদ্ধারে চলমান ধারা পর্যবেক্ষণ করে বলা যায়, পূর্বাভাস অনুযায়ী চাহিদার ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবেদনে ওপেক আরো উল্লেখ করে, যেহেতু বিশ্বের অধিকাংশ অর্থনীতিই শক্তিশালীরূপে বেড়ে ওঠার প্রত্যাশা করছে, সুতরাং সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদায় একটি ইতিবাচক দিক দেখতে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে আরো দেখা যায়, ওপেক ও তার সহযোগী দেশগুলোর প্লাটফর্ম ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো তাদের উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম উত্তোলন করেছে। চলতি মাসে দৈনিক চার লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল ওপেক প্লাস। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল ওপেক সদস্যদের উত্তোলন করার কথা ছিল। প্রতিবেদনে দেখা যায়, জানুয়ারিতে ওপেকের উত্তোলন সীমা দৈনিক ৬৪ হাজার ব্যারেল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ ব্যারেলে।
কোন মন্তব্য নেই