টাকার লোভে কিশোরীর ডিম্বাণু বিক্রি, গ্রেফতার মা
সোমবার ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, কিশোরী প্রথমে এতে রাজি ছিল না। কিন্তু মা ও সৎবাবার শারীরিক অত্যাচারে এটি করতে বাধ্য হয় সে। একপর্যায়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয় ওই কিশোরী। তাদের সহযোগিতায় মা-বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে সে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই কিশোরীর মা, সৎবাবা ও অন্য এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তাদের বিরুদ্ধে কিশোরীকে অত্যাচার ও অবৈধভাবে ডিম্বাণু বিক্রি করার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় ইন্দ্রাণী আলিয়া সুমাইয়া (কিশোরীর মা), সৈয়দ আলি (সৎবাবা) আর মালতি নামক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুমাইয়া দীর্ঘ দিন ধরেই বেসরকারি ফার্টিলিটি ক্লিনিকে ডিম্বাণু বিক্রি করার সাথে জড়িত। নিজের মেয়েকে আট বার ডিম্বাণু দান করতে বাধ্য করেছেন সুমাইয়া। প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলছে এ জুলুম। প্রতি ডিম্বাণুর জন্য ২০,০০০ টাকা নিতেন সুমাইয়া। তার সহযোগী মালতি কমিশন পেতেন পাঁচ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য অধিদফতর। এক সংবাদ সম্মেলনে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এম এ সুব্রহ্মণ্যম বলেন, এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে এবং জোরপূর্বক ডিম্বাণু দান করার ঘটনায় বেসরকারি ফার্টিলিটি সেন্টার জড়িত প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই