আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি: প্রধানমন্ত্রী - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি: প্রধানমন্ত্রী


দেশের তরুণ প্রজন্মকে একটি দক্ষ কর্মশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না, বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে না। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের জনশক্তিকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। সব কিছুর মধ্যে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি।


গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) প্রথম বৈঠকে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। এনএসডিএর বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজকে তাদের নিয়মিত অধ্যয়নের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে পরিবর্তনশীল বিশ্ব পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে, যাতে তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম সমাজে তাদের অবস্থান যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে বজায় রাখতে পারে। অনেকে শুধু কোনোমতে ঘষেমেজে বিএ, এমএ পাস করেই চাকরির পেছনে ছুটে বেড়ায়। তাই কোনোমতে সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য পড়াশোনা না করে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।


বিষয়টি নিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা এমন ব্যবস্থা চাই যাতে আমাদের দেশের যুবসমাজ সুদক্ষ কারিগর হিসেবে গড়ে ওঠে এবং দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়েই কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে। যার যে মেধা আছে, দক্ষতা আছে সেটা যেন বিকশিত হতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যত বেশি দক্ষ জনশক্তি আমরা গড়তে পারব, আমাদের দেশেরও যেমন কাজে, তেমনি বিদেশেও লাগবে। আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক।


সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অনুকূল জনমিতিক সুবিধা ভোগ করছে, যা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। প্রতি বছর ২২ লাখ কর্মক্ষম যুবগোষ্ঠী শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু শ্রমবাজারে যুক্ত হওয়া যুবশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব না হলে এ জনমিতিক সুবিধাকে জনমিতিক লভ্যাংশে রূপান্তর করা সম্ভব হবে না। তাই এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে রূপকল্প ২০৪১-এ পৌঁছনোর পথ সুগম করতে হবে। সেই পথেই বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যায়।


বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তির চাহিদার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশ এখন বয়োবৃদ্ধের দেশে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সেখানে আমাদের বড় বিষয় হলো আমাদের বিপুলসংখ্যক যুব শ্রেণী আছে। কাজেই আমরা চাই শ্রমবাজারে যে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে সেজন্য তৈরি হতে তারা নিজেদের উপযুক্তভাবে গড়ে তুলবে। শুধু শ্রমবাজার নয়, শ্রম শিল্প সব দিক থেকেই। আমি মনে করি বিশ্ব একটা গ্লোবাল ভিলেজ, কাজেই সব দিকেই উন্মুক্ত হচ্ছে। সেখানে আমাদের অনেক কর্মী বিদেশে কাজও করে। তাদের আমরা চাই দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে।


দক্ষতা সনদ প্রদান ও দেশে-বিদেশে দক্ষতা মেলা আয়োজন করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যে দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে বা সম্ভাবনা রয়েছে তা নিয়ে দেশে ও বিদেশে দক্ষতা মেলার আয়োজন করা যেতে পারে।


পণ্য বহুমুখীকরণ, রফতানি বৃদ্ধি এবং দেশে-বিদেশে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি সেখানে শুধু রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করলে হবে না। আমাদের এখানে উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং বহুমুখীকরণ করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই