পিএসসির সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে নন-ক্যাডার প্রার্থীরা
ছয় দফা দাবিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন নন-ক্যাডার চাকরিপ্রার্থীরা। আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। তাঁরা আগের পদ্ধতিতে নন-ক্যাডার নিয়োগের দাবিতে এ কর্মসূচি দিয়েছেন।
চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলবে। পিএসসি এই ছয় দফা দাবি না মানায় চাকরিপ্রার্থীরা পিএসসির সামনে লাগাতার এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। নতুন পদ্ধতিতে নন-ক্যাডার নিয়োগ না দিতে পিএসসির প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।
একজন চাকরিপ্রার্থী বলেন, আগের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগে কোনো সমস্যা হয়নি। অনেকে নন-ক্যাডার থেকে চাকরি পেয়েছেন এবং সম্মানের সঙ্গে চাকরি করে নিজেদের বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। আগের বছরগুলোয় নন-ক্যাডার নিয়োগে পিএসসি যে নিয়ম অনুসরণ করেছে, তাতে পিএসসি বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সেই নিয়ম থেকে সরে এসে পিএসসি তরুণদের বেকারত্ব বাড়ানোর মতো কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন ওই চাকরিপ্রার্থী। তাঁরা সে জন্য ৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত আগের নিয়মে নন-ক্যাডার নিয়োগের পদ্ধতি বহাল চান।
৬ অক্টোবর ৪০তম বিসিএস উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রত্যাশী ও চাকরিপ্রার্থীরা পিএসসির সামনে মানববন্ধন শুরুর মাধ্যমে কর্মসূচি দেওয়া শুরু করেন। পরে ১৬ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে পিএসসির কাছে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করে কর্মসূচি দেন তাঁরা। এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের চাকরিপ্রার্থীরা গত ২০ অক্টোবর একযোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নন-ক্যাডার নিয়োগের বিধিমালা ২০১০ সালে গঠিত। সেটি ২০১৪ সালে সংশোধন করা হয়, যেটি সরকারই করেছে। এর আগের বিসিএসগুলোয় নন-ক্যাডার নিয়োগের সময় সেই নীতিমালা অনুসারে নন-ক্যাডার নিয়োগের কথা থাকলেও তা করা যায়নি। তাই সেই বিধিমালা বাস্তবায়ন করতে ৪০তম বিসিএস থেকে ওই নীতি অনুসরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নীতিমালা অনুসারে নিয়োগ নেওয়া না নেওয়া পিএসসির ইচ্ছা অনুসারে হবে না। এখন সরকার যদি নীতিমালার বাইরে গিয়ে নন-ক্যাডার নিয়োগে পিএসসিকে নির্দেশ দেয়, তাহলে তাঁরা সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করবে। নীতিমালা অনুসরণ করা বা না করা সরকারের এখতিয়ার বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে আন্দোলনকারীদের পরামর্শ দেন ওই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে কি না, তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ওই কর্মকর্তা।

কোন মন্তব্য নেই