বড় ছাঁটাইয়ের মুখে প্রযুক্তি খাতের কর্মীরা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

বড় ছাঁটাইয়ের মুখে প্রযুক্তি খাতের কর্মীরা


চলতি সপ্তাহে বড় ধরনের ছাঁটাইয়ের মধ্যে পড়েছেন প্রযুক্তি খাতের কর্মীরা। গত সপ্তাহে টুইটার থেকে অনেকটা নির্মমভাবেই প্রায় অর্ধেকসংখ্যক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। মেটা প্লাটফর্মের ফেসবুক থেকে শুরু করে ইনস্টাগ্রামের বড়সংখ্যক কর্মীও এখন ছাটাইয়ের মুখে রয়েছে। খবর কোরিয়ান হেরাল্ড।


টুইটার কোরিয়ায় কর্মরত ৩০ জন কর্মীর মধ্যে থেকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশকেই ছাঁটাইয়ের নোটিস দেয়া হয়েছে। কোরিয়াভিত্তিক থুঙ্গা ইবোসহ কয়েকটি দৈনিকে খবরটি প্রকাশিত হয়। যদিও ফেসবুক কোরিয়ার কর্মীরা বলছেন, বুধবার পর্যন্তও ছাঁটাইয়ের বিষয়টি নিয়ে তাদের সতর্ক করা হয়নি।


রোববার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে শেয়ার মূল্য বাবাদ প্রায় ৮ হাজার কোটি ডলার হারানোর পর ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা তার হাজারো কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর  হচ্ছে।


মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ২০২৩ সালে আমরা স্বল্প পরিসরে তবে উচ্চ অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রগুলো ঘিরে বিনিয়োগে মনোযোগী। যার মানে আমাদের কিছু বিভাগের অর্থপূর্ণ সম্প্রসারণ ঘটবে। তবে বেশির ভাগ বিভাগ বছরজুড়ে সংকোচনের মুখোমুখি হবে।


জাকারবার্গ আরো বলেন, জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম হওয়া সত্ত্বেও তিনি তার কোম্পানিকে সামাজিক মিডিয়া কোম্পানির পরিবর্তে একটি মেটাভার্স কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করতে আগ্রহী।



আসন্ন ছাঁটাইয়ের ফলে ফেসবুক কোরিয়া কতটা প্রভাবিত হবে বা সামগ্রিক ছাঁটাইয়ের পরিমাণ কী হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে গণবরখাস্তের মাধ্যমে টুইটার আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।


মিডিয়া টুডেসহ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা দলের তিন সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনসংযোগ সংস্থার (পিআর এজেন্সি) সঙ্গেও চুক্তিও বাতিল করেছে টুইটার। 


তবে দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, বিদেশী কোম্পানি যখন কোরিয়ার মাটিতে কাজ করে তখন তারা দক্ষিণ কোরিয়ার আইনের আওতার মধ্যে পড়ে। দেশটির শ্রমমান আইনের ২৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কর্মী বরখাস্তের জন্য একটি ‘জরুরি ব্যবস্থাপনাগত প্রয়োজনীয়তা’ থাকতে হবে এবং নিয়োগকর্তারা যথাসম্ভব তা এড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। তাছাড়া বরখাস্তের অন্তত ৫০ দিন আগে এ ধরনের পদক্ষেপ সম্পর্কে তাদের অবহিত করা উচিত।


উল্লেখ্য, টুইটারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নোটিস দেয়া হয়নি এমন অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বরখাস্ত হওয়া ৭ হাজার ৫০০ টুইটার কর্মীর মধ্যে কয়েকজন সানফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে মামলা করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই