২০ শতাংশ প্রসারণ সক্ষমতা নিয়ে এলজির নতুন ডিসপ্লে
মূল আকারের তুলনায় বেশি প্রসারণ সক্ষমতার নতুন ডিসপ্লে নিয়ে এসেছে এলজি। সম্প্রতি দেয়া এক ঘোষণায় প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ১২ ইঞ্চির ডিসপ্লেটি ২০ শতাংশ সম্প্রসারণ করে ১৪ ইঞ্চিতে রূপান্তর করা সম্ভব। খবর এনগ্যাজেট।
ভবিষ্যতে ডিসপ্লেটি অপ্রচলিত সারফেস, যেমন—কাপড় বা ওয়্যারেবল ডিভাইসে মেসেজ দেখার জন্য ব্যবহার করা যাবে। এলজি নামকরণকৃত সম্প্রসারণযোগ্য বা ফ্রি ফর্ম ডিসপ্লেগুলোকে টেনে ধরা যাবে, বাঁকানো ও ভাঁজও করা যাবে। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোল্ড ও অন্যান্য স্মার্টফোনে যে ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোর তুলনায় এটি আরো উন্নত। স্যামসাংয়ের ডিভাইসে থাকা ডিসপ্লে ভাঁজ করা ও বাঁকানো গেলেও টেনে ধরে বড় করা যেত না।
ডিসপ্লেকে প্রসারণযোগ্য করতে এলজি ডিসপ্লে কন্ট্যাক্ট লেন্সে ব্যবহূত সিলিকন থেকে বেজ সাবস্ট্রেট তৈরি করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি আলোর উেসর জন্য মাইক্রো-এলইডিকে ৪০ মাইক্রোমিটারের চেয়েও ছোট আকারে তৈরি করেছে, যেটি বেশি রেজল্যুশন ও দীর্ঘমেয়াদে পরিষেবা দিতে সক্ষম। সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানটি বাঁকানো ও ভাঁজ করার জন্য ডিসপ্লেতে স্প্রিং আকৃতির মতো সার্কিট ব্যবহার করেছে।
এক বিবৃতিতে এলজি ডিসপ্লে জানায়, ডিসপ্লেতে এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন ব্যবহারকারীদের পরবর্তী প্রজন্মের বহুমুখী সুবিধা দেবে। এটি ভাঁজযোগ্য বিভিন্ন মাধ্যম, যেমন—স্কিন, কাপড়, আসবাব, যানবাহন ও উড়োজাহাজে ব্যবহার করা যাবে। এটি ফ্যাশন, ওয়্যারেবল বা পরিধানযোগ্য পণ্য, গেমিংসহ বিভিন্ন খাতের সম্ভাবনা বাড়াতে সহায়তা করবে।
এলজির আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান স্যামসাং ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রসারণযোগ্য ডিসপ্লে উন্মোচন করেছে। তবে যেসব ডিসপ্লেতে ভাঁজ করার পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা রয়েছে, সেগুলো গ্রাহক বা ব্যবহারকারীদের জন্য ইতিবাচক অবদান রাখবে। ২০২০ সাল থেকে এলজি ডিসপ্লে এ প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে আসছে। ২০২৪ সাল নাগাদ এ গবেষণা শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রযুক্তিবিদ, বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা।

কোন মন্তব্য নেই