মহাকাশে ডাটা সেন্টার স্থাপনে আগ্রহী ইউরোপিয়ান কমিশন
জলবায়ু পরিবর্তনে ডাটা সেন্টারের প্রভাব কমানোর বিষয়ে ভাবছে ইউরোপিয়ান কমিশন (ইসি)। এর অংশ হিসেবে মহাকাশে ডাটা সেন্টার স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি উচ্চক্ষমতার কম্পিউটিং ফ্যাসিলিটি থেকে পরিবেশে যে প্রভাব পড়ে সেটি প্রশমনের উপায়ও খোঁজা হচ্ছে। খবর গিজচায়না।
বর্তমান বিশ্বের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো জলবায়ু পরিবর্তন। তবে ঝুঁকির কথা বিবেচনা করলেও অনেক দেশ এখনো তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে বেশি সোচ্চার হলেও জলবায়ুতে বিরূপ প্রভাব বিস্তারকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানের ছয়টিই সেখানকার। সেদিক থেকে ইসিই প্রথম এমন কোনো উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে জানাল।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ইসি মহাকাশে ডাটা সেন্টার চালুর বিষয়ে ভাবছে। এজন্য সংস্থাটি অ্যাডভান্সড স্পেস ক্লাউড ফর নিট জিরো এমিশনস অ্যান্ড ডাটা সভরেনটি ইন ইউরোপ (অ্যাসসেন্ড) নামে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালিয়েছে। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হরাইজন ইউরোপ প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত।
ইসি গৃহীত প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী, ডাটা সেন্টারগুলো সম্পূর্ণ সৌরবিদ্যুতে চলবে। এটি কয়েকশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। অপটিক্যাল কমিউনিকেশন পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে মহাকাশে থাকা ডাটা সেন্টারগুলোকে পৃথিবীর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। প্রকল্পের অন্যতম সহযোগী থেলস অ্যালেনিয়া স্পেসের তথ্যানুযায়ী, ডাটা সেন্টার স্থাপন এবং পৃথিবীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে ইইউর কাছে উপযুক্ত প্রযুক্তি রয়েছে।
মহাকাশে ডাটা সেন্টার উেক্ষপণের জন্য যেসব রকেট ব্যবহার করা হবে সেগুলোও বিপুল কার্বন নিঃসরণ করে। এছাড়া মহাশূন্যে দীর্ঘমেয়াদে কার্যক্রম পরিচালনা করাও জটিল। ডাটা সেন্টার তৈরি ও চালু করার ক্ষেত্রে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায় কিনা সে বিষয়টি যাচাই করা এ জরিপের প্রথম উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় ধাপে ডাটা সেন্টার উেক্ষপণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রণয়ন করা যাবে কিনা তা নিশ্চিত করা হবে। সাধারণ অর্থে বলতে গেলে এসব স্টেশন দীর্ঘমেয়াদে কার্বন নিঃসরণের হার কমাবে এবং পৃথিবীর পরিবেশ ও জলবায়ুর জন্য ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
কোন মন্তব্য নেই