ক্লাউড অবকাঠামোয় বৈশ্বিক ব্যয় ৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ক্লাউড অবকাঠামোয় বৈশ্বিক ব্যয় ৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার


 চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ক্লাউড অবকাঠামোয় বৈশ্বিক ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, গত বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে যা ২৪ শতাংশ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সিনার্জি রিসার্চ গ্রুপের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।


ক্লাউড অবকাঠামো বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির ধারায় থাকলেও তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি দ্বিতীয় প্রান্তিকের ২৯ শতাংশের চেয়ে কম ছিল। অবশ্য বছরওয়ারি বিবেচনায় ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার অধিক বিনিয়োগ হয়েছে।


শীর্ষ ক্লাউড পরিষেবাদানকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্রতর হচ্ছে। অ্যামাজন ও মাইক্রোসফটের বাজার হিস্যা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও তৃতীয় প্রান্তিকে গুগলের হিস্যা বেড়েছে।


শীর্ষ তিন ক্লাউড পরিষেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর হিস্যা আরো বেড়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও গুগলের সম্মিলিত বৈশ্বিক হিস্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ শতাংশ, গত বছরের একই প্রান্তিকে যেখানে এ তিন প্রতিষ্ঠানের হিস্যা ছিল ৬১ শতাংশ। সরকারি ক্লাউড পরিষেবা এ তিন প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্য আরো সুস্পষ্ট। সিনার্জি রিসার্চ গ্রুপ বলছে, সরকারি ক্লাউড পরিষেবায় এ তিন প্রতিষ্ঠানের হিস্যা ৭২ শতাংশ।


ক্লাউড পরিষেবা খাত প্রবৃদ্ধির ধারায় থাকলেও গত কয়েক প্রান্তিকের ৩০ শতাংশ ধরে রাখতে পারেনি। সিনার্জি রিসার্চ গ্রুপের চিপ অ্যানালিস্ট জন ডিনসডেল বলেন, বিশ্বব্যাপী বেশকিছু নেতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করলেও ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ক্লাউড পরিষেবা খাতের জন্য বেশ আশাব্যঞ্জক। চীনের বাজার যদি স্থিতিশীল থাকত এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকত তাহলে প্রবৃদ্ধি ৩০-এর ঘরেই থাকত।


গত প্রান্তিকে ৩৪ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে শীর্ষ ক্লাউড পরিষেবাদানকারী কোম্পানি ছিল অ্যামাজন। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জেফ বেজোস প্রতিষ্ঠিত এ কোম্পানির আয় হয়েছে ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। ২১ শতাংশ হিস্যার মাইক্রোসফটের আয় হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। ৬০০ কোটি ডলার আয়ে গুগলের হিস্যা দাঁড়িয়েছে ১১ শতাংশ।


২০১৭ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে শুরু করে পরবর্তী পাঁচ বছরে ক্লাউড পরিষেবা বাজার উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তবে মাত্র ১ হাজার কোটি ডলারের বাজার থেকে বর্তমানে তা ৬ হাজার কোটি ডলার ছুঁই ছুঁই।



এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ক্লাউড অবকাঠামো পরিষেবার চাহিদা তুঙ্গে ছিল।


প্রযুক্তিবাজার বিশ্লেষক সংস্থা ক্যানালিসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক ব্যয় ৩৩ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ২৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ডাটা অ্যানালিটিকস ও মেশিন লার্নিং, ডাটা সেন্টার কনসলিডেশন, অ্যাপ্লিকেশন মাইগ্রেশন, ক্লাউড-নেটিভ ডেভেলপমেন্ট ও সার্ভিস ডেলিভারিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে এ খাতে ব্যয় বেড়েছে।


দ্বিতীয় প্রান্তিকে ক্লাউড পরিষেবায় শীর্ষ তিন ব্র্যান্ড ছিল অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস), মাইক্রোসফট অ্যাজুরে ও গুগল ক্লাউড। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে শীর্ষ তিন প্রতিষ্ঠানের হিস্যা ছিল ৬৩ শতাংশ।


বাজার বিশ্লেষক সংস্থা ক্যানালিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্স স্মিথ বলেন, প্রযুক্তি খাতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী খাত হিসেবে নিজের স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ক্লাউড পরিষেবা। ছোট ও বড় সব প্রতিষ্ঠানের জন্যই এ খাতে বিকাশের ভালো সুযোগ থাকলেও শীর্ষস্থান নিয়ে অ্যামাজন ও মাইক্রোসফটের লড়াই লক্ষণীয়।


এডব্লিউএস ও মাইক্রোসফট উভয়ই ক্লাউড অবকাঠামো নির্মাণে বড় অংকের ব্যয় করছে। আগামী বছরের মধ্যে আটটি অঞ্চলে ২৪টি অ্যাভাইলেবিলিটি জোন চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে এডব্লিউএস। অন্যদিকে একই সময়ে ১০টি নতুন অঞ্চলে এ ধরনের জোন চালু করতে চায় মাইক্রোসফট। এছাড়া বৈশ্বিক চাহিদা আমলে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সম্প্রসারণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি জায়ান্ট দুটি।


বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সরকারি ক্লাউডের বাজার দাঁড়াতে পারে ৭ হাজার ১২০ কোটি ডলার, যেখানে ২০২১ সালে ছিল ২ হাজার ৭৬০ কোটি ডলার।

কোন মন্তব্য নেই