জিপিএসের বিকল্প নেভিগেশন সিস্টেম এনেছেন গবেষকরা
স্মার্ট ডিভাইসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির অবস্থান শনাক্তে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের (জিপিএস) ব্যবহার দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি জিপিএসের তুলনায় আরো শক্তিশালী ও যথাযথ তথ্য প্রদানে সক্ষম অবস্থান শনাক্তকরণ সিস্টেম তৈরির কথা জানিয়েছেন একদল গবেষক।খবর টেকটাইমস।
ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, আমস্টারডামের ভ্রিজ ইউনিভার্সিটি ও ভিএসএলের গবেষকরা এ পদ্ধতি তৈরিতে কাজ করেছেন। এটি সুপার জিপিএস নামে পরিচিত। নতুন মোবাইল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য যে প্রটোটাইপ ব্যবহার করা হয়েছে সেটির কার্যক্ষমতা খুবই প্রখর। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এটি কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তারা।
গবেষক দলটির দাবি, অবস্থানভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন থেকে শুরু করে স্বচালিত গাড়ি, কোয়ান্টাম যোগাযোগ ও পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। ইউএস জিপিএস ও ইইউ গ্যালিলিওর মতো গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেমগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। গবেষক দলটির তথ্যানুযায়ী, স্যাটেলাইটনির্ভর এসব পদ্ধতির পিছুটান ও দুর্বলতা রয়েছে।
পৃথিবীতে এগুলোর রেডিও ট্রান্সমিশন খুবই দুর্বল। সেই সঙ্গে যদি তরঙ্গ কোনো মাধ্যমে প্রতিফলিত হয় বা বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে শতভাগ সঠিক তথ্য পাওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ক্রিশ্চিয়ান টিবেরিয়াসের তথ্যানুযায়ী, এসব কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে জিপিএস বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে পারে। ফলে স্বচালিত গাড়িতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করলে বড় ধরনে উদ্বেগ তৈরি হবে।
বিভিন্ন অবস্থানভিত্তিক পরিষেবা ও নেভিগেশন টুলের জন্য সাধারণ মানুষ থেকে সরকার জিপিএস ব্যবহার করলেও গবেষক দলটি ব্যাকআপ সিস্টেম থাকার বিষয়ে জোর দিয়েছেন বলে জানান তিনি। সুপার জিপিএস প্রকল্পের মূল লক্ষ্য বর্তমানে স্যাটেলাইটনির্ভর জিপিএস সিস্টেমের বিকল্প ব্যবস্থা প্রণয়ন করা, যেখানে মোবাইল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে আরো নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাবে।
ভ্রিজে ইউনিভার্সিটির জেরিওন কোয়েলেমেজির তথ্যানুযায়ী, গবেষকদের দলটি একটি বিষয় অনুধাবন করতে পেরেছে যে কিছু উন্নতির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগের নেটওয়ার্ককে কার্যকরী বিকল্প অবস্থান শনাক্তকরণ ব্যবস্থায় পরিবর্তন করা যাবে। দলটি জানায়, অবস্থান শনাক্তকরণে তারা এমন একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করেছে যেটি মোবাইল ও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মতো কাজ করবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া বিবৃতিতে ভিএসএলের এরিক ডিয়েরিক্স বলেন, এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা নেটওয়ার্ককে সমগ্র দেশে অ্যাটমিক ঘড়ি হিসেবে পরিণত করতে পারব। হাইব্রিড অপটিক্যাল ওয়্যারলেস সিস্টেমের মাধ্যমে সাধারণত যে কেউ ভিএসএল সরবরাহকৃত জাতীয় সময়ে ওয়্যারলেস প্রবেশাধিকার পাবে।
কোন মন্তব্য নেই