শেয়ারদর দ্বিগুণের পর রহিমা ফুডের কাজু বাদাম প্ল্যান্ট বন্ধ
১৩ আগস্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত ঘোষণায় কোম্পানি জানায়, পরিচালনা পর্ষদ ১২ আগস্টের সভায় তাৎক্ষণিক কার্যকারিতায় কাজু বাদাম প্ল্যান্টের উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, ৭ জুলাই নারকেল তেলের প্ল্যান্ট বন্ধের ঘোষণার সময় রহিমা ফুডের প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৮২ টাকা ২০ পয়সা। মাত্র ২৪ কর্মদিবসে তা বেড়ে ১১ আগস্ট দাঁড়ায় ১৬৮ টাকা ৯০ পয়সায়—যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই সময়ে শেয়ারদর ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
কোম্পানির রাজস্ব ও মুনাফা হ্রাস সত্ত্বেও শেয়ারের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ১৩ আগস্ট শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দাঁড়ায় ৪৪৩.৬৫, যা বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
কাজু বাদাম প্ল্যান্ট বন্ধের ঘোষণার পর এদিন ডিএসইতে শেয়ারের দাম ৭.৭৯ শতাংশ বা ১৩ টাকা কমে ১৫৩ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে আসে। মোট ৯ লাখ ৭৯ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়, যার আর্থিক মূল্য ১৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, তাদের আয়ের বড় অংশ আসে কাজু বাদাম, নারকেল তেল এবং কাজু বাদামের উপজাত থেকে। তবে উৎপাদন বন্ধের সুনির্দিষ্ট কারণ জানায়নি কর্তৃপক্ষ। গত তিন মাসে শেয়ারদর প্রায় ১৫০% বেড়ে যাওয়ায় ডিএসই চারবার নোটিশ পাঠিয়েছিল। প্রতিবারই কোম্পানি জানায়, এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই।
কোন মন্তব্য নেই