দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের অভয়ারণ্য ঘোষণা, প্রতিবাদ ফিলিপাইনের
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের অভয়ারণ্য ঘোষণা, প্রতিবাদ ফিলিপাইনের
📰 এএফপি || আন্তর্জাতিক ডেস্ক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
📅 ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সন্ধ্যা ৫:০০
ফিলিপাইন বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত প্রবালপ্রাচীর স্কারবোরো শোলে চীনের পরিকল্পিত ‘প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য’-এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। ফিলিপাইনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এটিকে ‘শেষ পর্যন্ত দখলদারির অজুহাত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
🏝 চীনের পরিকল্পনা
চীন এক দিন আগে ঘোষণা দেয়, তারা হুয়াংইয়ান দ্বীপের প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য একটি অভয়ারণ্য গড়ে তুলবে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভয়ারণ্যের এলাকা হবে ৮,৭০৭ একর, যেখানে মূল গুরুত্ব থাকবে প্রবালপ্রাচীরের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণে।
📢 ফিলিপাইনের প্রতিক্রিয়া
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে—
👉 “চীনের এই বেআইনি ও অবৈধ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফিলিপাইন আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানাবে।”
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এদুয়ার্দো আনো জানিয়েছেন, অভয়ারণ্য প্রস্তাবটি “পরিবেশ রক্ষার চেয়ে চীনের ফিলিপাইনের ভূখণ্ড দখলের অজুহাত তৈরির কৌশল।”
⚓ সামরিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট
-
ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপ লুজন থেকে স্কারবোরো শোল ২৪০ কিমি পশ্চিমে অবস্থিত।
-
চীনের নিকটবর্তী প্রধান ভূমি হাইনান দ্বীপ প্রায় ৯০০ কিমি দূরে।
-
গত মাসে ফিলিপাইনের টহল নৌকাকে ধাওয়া করার সময় চীনের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ধাক্কা খায়। ম্যানিলা সেই ঘটনার নাটকীয় ভিডিও প্রকাশ করেছে।
🏛 চীনের অবস্থান
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাল্টা মন্তব্য করেছে, ওই এলাকা কখনোই ফিলিপাইনের অংশ ছিল না। মঞ্চপত্রে বলা হয়েছে—
👉 “ফিলিপাইন তাদের অনুপ্রবেশ, উসকানি ও ভিত্তিহীন প্রচার বন্ধ করুক, যাতে সমুদ্রপথে নতুন জটিলতা না তৈরি হয়।”
🌏 আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট
চীন পুরো দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় সবটাই নিজেদের বলে দাবি করে। এখানে বিশ্বের ৬০% এর বেশি সামুদ্রিক বাণিজ্য চলে। যদিও ২০১৬ সালে এক আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, চীনের দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
কোন মন্তব্য নেই