বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ক্ষতি: বিজিএমইএর উদ্বেগ
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ক্ষতি: বিজিএমইএর উদ্বেগ
নিজস্ব প্রতিবেদক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ৮:২৭
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বিজিএমইএ সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান বলেন, “এই অগ্নিকাণ্ড পোশাক শিল্পে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এর ফলে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।”
তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য বিজিএমইএ তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। সদস্যদের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং একটি অনলাইন ডেটা কালেকশন পোর্টাল খোলা হয়েছে। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমস ইত্যাদি) সঙ্গে সমন্বয় সভা করা হবে।
বিজিএমইএ’র প্রতিনিধিদল এ সময় বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে দেখা করে পোশাক শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার সহযোগিতা চান। উপদেষ্টা বলেন, “আমদানিকৃত কাঁচামাল ৭২ ঘণ্টার স্থলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালাসের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
অগ্নিকাণ্ডে উচ্চমূল্যের রপ্তানি পণ্য, পোশাক তৈরির কাঁচামাল, এক্সেসরিজ ও গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল পুড়ে গেছে। বিজিএমইএ বলছে, এসব স্যাম্পল হারানো মানে ভবিষ্যৎ অনেক ব্যবসায়িক সুযোগ হারানো।
সংগঠনটি সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে—
-
দুর্ঘটনার কারণ দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা।
-
ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
-
রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সব প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুততর করা।
-
বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা, যেন বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ না তৈরি হয়।
বিজিএমইএ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে—আমদানিকৃত মালামাল ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালাস সম্পন্ন করতে।

কোন মন্তব্য নেই