টাঙ্গাইলে ক্লোজড এসআই রাসেলের ঘুষকাণ্ডে তোলপাড়, তদন্ত দাবি স্থানীয়দের - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

টাঙ্গাইলে ক্লোজড এসআই রাসেলের ঘুষকাণ্ডে তোলপাড়, তদন্ত দাবি স্থানীয়দের

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে ক্লোজড এসআই রাসেলের ঘুষকাণ্ডে তোলপাড়, তদন্ত দাবি স্থানীয়দের

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪ | প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ৯:৩০ | আপডেট: সকাল ১০:০০


টাঙ্গাইলে ক্লোজড হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল মিয়া আবারও বিতর্কের মুখে। এবার এক সিএনজি চালকের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এসআই রাসেল বর্তমানে যমুনা সেতু পূর্ব থানায় দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে গত ২৬ আগস্ট যুবদল নেতাকে থাপ্পড় মারার ঘটনায় তাকে গোপালপুর থানার দায়িত্ব থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।


💰 ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নতুন বিতর্ক

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে এসআই রাসেল মিয়া তার সঙ্গে থাকা আরেক পুলিশ সদস্যকে নিয়ে কালিহাতীর দেউপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের সিএনজি চালক সেলিমের বাড়িতে যান।
তিনি সেলিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই দফায় ৬৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন।

প্রথমে ২৫ হাজার টাকা ও পরে ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন রাসেল। এরপর কিছু অংশ ফেরত দিলেও, পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান ফরিদ বলেন—

“রাত ১১টার পর এসআই রাসেল গ্রামে গিয়ে গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এটা আইনবহির্ভূত ও অমানবিক কাজ।”


⚖️ মৃত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয়দের ক্ষোভ

৯ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া এক সড়ক দুর্ঘটনায় হাফেজ জোনায়েদ আল হাবিব নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।
পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ না দিলেও, স্থানীয়রা দাবি করেন—

“রাসেল ওই ঘটনার ভয় দেখিয়ে সিএনজি চালক সেলিমের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করেছেন।”

সেলিমের বাবা আব্দুল হাই বলেন—

“রাসেল মিয়া দুই লাখ টাকা দাবি করেছিল। ভয় পেয়ে ঋণ করে ৭০ হাজার টাকা দিতে হয়। পরে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ফেরত দেয়।”


🗣️ এসআই রাসেলের বক্তব্য

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই রাসেল মিয়া বলেন—

“বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হাতে দেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে যমুনা সেতু পূর্ব থানার বর্তমান ওসি মো. শবজেল বলেন,

“আমি নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না।”

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন—

“এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


🔍 স্থানীয়দের দাবি

ঘুষের এই ঘটনার পর এলাকাবাসী পুলিশের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত স্বচ্ছ তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন—

“অভ্যুত্থানের পর ভেবেছিলাম, পুলিশ মানুষকে ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেওয়া বন্ধ করবে। কিন্তু এখনও সেই পুরোনো চিত্রই দেখা যাচ্ছে।”

কোন মন্তব্য নেই