হাঙ্গেরিতে পুতিন-ট্রাম্প বৈঠক চূড়ান্ত, ইউক্রেন যুদ্ধই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

হাঙ্গেরিতে পুতিন-ট্রাম্প বৈঠক চূড়ান্ত, ইউক্রেন যুদ্ধই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

হাঙ্গেরিতে পুতিন-ট্রাম্প বৈঠক চূড়ান্ত, ইউক্রেন যুদ্ধই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪ | প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ৯:৩০ | আপডেট: সকাল ১০:০০


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিগগিরই মুখোমুখি আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে। বৃহস্পতিবার দুই নেতার মধ্যে এক ফলপ্রসূ টেলিফোন আলাপের পর এ বৈঠকের বিষয়ে সম্মতি হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন,

“পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। আমরা ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি।”


📞 ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্পষ্ট’ ফোনালাপ

ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপ ছিল “অত্যন্ত স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য।”
এই আলোচনার পরপরই উভয় দেশের কর্মকর্তারা হাঙ্গেরিতে শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

ওয়াশিংটন সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকের সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি, তবে আগামী সপ্তাহেই মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠকে বসবেন। মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।


🇺🇦 ইউক্রেন প্রসঙ্গই আলোচনার মূল বিষয়

এই ফোনালাপটি হয়েছে এমন সময়, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন এবং ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে ‘টমাহক’ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে বলেন—

“মস্কো টমাহকের খবর শোনার পরই দ্রুত সংলাপে আগ্রহ দেখাচ্ছে।”

ট্রাম্প এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,

“আমরা টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ কমিয়ে ফেলতে পারি না। এগুলো আমাদেরও প্রয়োজন... তাই এখনই কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।”


🕊️ আলাস্কার পর নতুন সুযোগ

এর আগে গত আগস্টে আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিন মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিলেন।
তবে সে সময় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি হয়নি।
নতুন এই বুদাপেস্ট বৈঠককে দুই দেশের মধ্যে ‘সম্ভাব্য কূটনৈতিক অগ্রগতি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই