রুটির আকার ছোট, দাম বেশি: আটার বাজারে আগুনে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস
রুটির আকার ছোট, দাম বেশি: আটার বাজারে আগুনে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস
টাইমস এক্সপ্রেস ২৪ | প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর দোকানগুলোতে এখন রুটি আগের চেয়ে ছোট, দাম কিন্তু বেড়েই চলেছে। আটা ও ময়দার দাম বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি পড়েছে রুটির আকার ও মূল্যে। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
চানখাঁরপুল এলাকার রুটি বিক্রেতা আরফান উদ্দিন খোকা বললেন,
“গম-আটার দাম বেড়েছে। আগের মতো রুটি বানালে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। আগে ১ কেজি আটায় ৮-৯টি রুটি বানাতাম, এখন একই পরিমাণ আটায় বানাতে হয় ১২-১৩টি।”
ক্রেতা মো. আল-আমিন, এক কারখানা শ্রমিক, বলেন,
“আগে দুটি রুটি খেয়ে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পার হয়ে যেত। এখন রুটি ছোট হয়ে যাওয়ায় তিন-চারটা না খেলে পেট ভরে না। খরচও বেড়েছে।”
📈 আটা-ময়দার দাম বৃদ্ধির তথ্য
সরকারি হিসেবে গত এক বছরে প্রতি কেজি আটার দাম বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে,
-
খোলা আটার দাম বেড়েছে ৬ থেকে ১০ টাকা,
-
মোড়কজাত আটার ২ কেজির প্যাকেটের দাম ৯০-৯৫ টাকা থেকে বেড়ে ১২৫-১৩০ টাকায় পৌঁছেছে,
-
ময়দার দামও বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।
🏭 উৎপাদন খরচে চাপ, কমছে পণ্যের পরিমাণ
বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন,
“ভ্যাট ও কাঁচামালের দাম বাড়লেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাওয়া যায় না। তাই অনেক প্রতিষ্ঠান বাধ্য হয়ে পণ্যের আকার ছোট করছে।”
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)–এর সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন,
“কাঁচা মালের দাম বাড়লে পণ্যের আকার ছোট করা এখন আমাদের পুরোনো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সরকারি নজরদারি খুবই দুর্বল। এতে ভোক্তাদের কষ্ট কমছে না।”
🍞 রাজধানীর বাস্তব চিত্র
কারওয়ান বাজার, মুগদা, মান্ডা— রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় একই চিত্র।
রুটি বিক্রেতা বিলকিস আক্তার বলেন,
“আগে ১ কেজি আটায় ৪টি রুটি বানিয়ে ২০ টাকা করে বিক্রি করতাম। এখন ৬-৭টি রুটি বানাই, তবুও খরচ সামলানো কঠিন।”
⚠️ সারসংক্ষেপ
-
রুটির আকার কমেছে, দাম বেড়েছে
-
আটা-ময়দার দাম বেড়েছে ১৮% পর্যন্ত
-
উৎপাদন খরচ বেড়ে ভ্যাটের চাপ বাড়ছে
-
সরকারের কার্যকর নজরদারির অভাব

কোন মন্তব্য নেই