ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী, লিবিয়া থেকে ইতালিগামী নৌকার খোঁজ নেই ১০ দিন
ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী, লিবিয়া থেকে ইতালিগামী নৌকার খোঁজ নেই ১০ দিন
সংবাদ প্রতিবেদন:
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
১৪ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে হবিগঞ্জের ৩৮ জনসহ ৭০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন। লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করা একটি নৌকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না টানা ১০ দিন ধরে।
ইউরোপে অবস্থানরত কয়েকজন প্রবাসী এবং নিখোঁজদের স্বজনরা জানিয়েছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর লিবিয়া থেকে চারটি নৌকা ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মধ্যে তিনটি নৌকা ইতালিতে পৌঁছালেও একটি নৌকা—যাতে হবিগঞ্জের ৩৮ জন ছিলেন—এখনো নিখোঁজ।
নিখোঁজদের মধ্যে চারজন হলেন—
বানিয়াচং উপজেলার আলফাজ মিয়া রনি (২১), মোজাক্কির আহমেদ (২১), সিয়াম জমাদার (২১) ও মিজান আহমেদ (২০)।
অন্য ৩৪ জনের বাড়ি হবিগঞ্জ সদর, আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
নিখোঁজ রনির বড় ভাই মনির মিয়া জানান, লিবিয়ায় প্রবাসী হাসান আশরাফ নামে এক দালালের মাধ্যমে প্রতি জন ১৭ থেকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে ইতালি যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নৌকায় উঠিয়ে দেওয়ার পর থেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রনি ও মোজাক্কিরের স্বজনরা জানান, হাসান আশরাফ তাদের কাছ থেকে মোট ৩৬ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। এখন তার ফোন নম্বর বন্ধ।
আরেক অভিবাসী আবুল কাশেম, যিনি একই দালালের মাধ্যমে ইতালিতে পৌঁছেছেন, বলেন—
“আমি ধার-কর্জ করে ১৭ লাখ টাকা দিয়ে এসেছি। এখন বুঝতে পারছি, কত বড় ঝুঁকি নিয়েছিলাম।”
ফ্রান্সে অবস্থানরত সৈকত আহমেদ জানিয়েছেন, হাসান আশরাফ গত ছয় মাসে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে ইতালি পাঠিয়েছেন, প্রতিজনের কাছ থেকে নিয়েছেন ১৭–১৮ লাখ টাকা করে। বর্তমানে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
নিখোঁজদের পরিবারগুলো এখন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করছে।

কোন মন্তব্য নেই