চীনের সহায়তায় বিদ্রোহীদের দখলকৃত এলাকা পুনর্দখল করছে মিয়ানমারের সেনা সরকার - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

চীনের সহায়তায় বিদ্রোহীদের দখলকৃত এলাকা পুনর্দখল করছে মিয়ানমারের সেনা সরকার

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

চীনের সহায়তায় বিদ্রোহীদের দখলকৃত এলাকা পুনর্দখল করছে মিয়ানমারের সেনা সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, বিকেল ৫:৩০

চীনের কৌশলগত সহযোগিতায় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একের পর এক এলাকা পুনর্দখল করছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। সর্বশেষ দেশটির উত্তরাঞ্চলের কিয়াউকমে শহর ও সিপাও পুনরায় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

গত বছর চীনা সীমান্তের কাছে অবস্থিত কিয়াউকমে শহরটি দখল করেছিল বিদ্রোহী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। শহরটি এশিয়ান হাইওয়ে–১৪-এর ওপর অবস্থিত, যা ঐতিহাসিকভাবে বার্মা রোড নামে পরিচিত। সেই সময় এই দখলকে সামরিক জান্তার জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়েছিল।

তবে মাত্র তিন সপ্তাহের অভিযানে শহরটি পুনর্দখল করতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। টানা বিমান হামলা ও কামান বর্ষণে শহরের বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেলেও কিয়াউকমে এখন জান্তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।

টিএনএলএ মুখপাত্র টার পার্ন লা জানান, সেনাবাহিনী এখন আগের তুলনায় বেশি ভারী অস্ত্র, বিমান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। সিপাও অঞ্চলেও টানা লড়াইয়ের পর শহরটি সেনাদের দখলে গেছে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে চীনের দৃশ্যমান সহায়তা। বেইজিং মিয়ানমারে জান্তার ঘোষিত ডিসেম্বরের নির্বাচন পরিকল্পনাকে সমর্থন দিয়েছে—যেখানে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) অংশ নিতে পারছে না।

জান্তা সরকার নির্বাচনের আগে যত বেশি সম্ভব এলাকা পুনর্দখল করতে চাইছে, যাতে এসব অঞ্চলে ভোট আয়োজন করা যায়। বিদ্রোহীদের দমনে তারা চীন থেকে হাজার হাজার ড্রোন কিনে মোতায়েন করেছে এবং সেনাদের ড্রোন পরিচালনার প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

এছাড়া চীনা ও রাশিয়ান সরবরাহকৃত যুদ্ধবিমান এবং মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। এ কারণে চলতি বছর মিয়ানমারে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই