এক বছরে বন্ধ ১৮৫ পোশাক কারখানা, রপ্তানি আয় কমেছে ৬ শতাংশ
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
এক বছরে বন্ধ ১৮৫ পোশাক কারখানা, রপ্তানি আয় কমেছে ৬ শতাংশ
টাইমস এক্সপ্রেস ২৪ | অর্থনীতি ডেস্ক
১৪ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ০৮:৩১
দেশের তৈরি পোশাক খাতে নেমে এসেছে ভয়াবহ মন্দা। গত এক বছরে ১৮৫টি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে হাজারো শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা, জ্বালানি সংকট ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা— এই তিন প্রভাব একসাথে আঘাত হেনেছে দেশের রপ্তানিনির্ভর প্রধান খাতটিতে।
রবিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে এখনই সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বিজিবিএ সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল বলেন,
“ক্রমাগত কারখানা বন্ধ হওয়া এবং উৎপাদন হ্রাসের কারণে বিদেশি ক্রেতারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। গত দুই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানির আয় প্রায় ৫ থেকে ৬ শতাংশ কমেছে।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক, বৈশ্বিক বাজারে চাহিদা কমে যাওয়া এবং দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা একসাথে এই খাতকে চাপে ফেলেছে।
সংগঠনের অন্যান্য নেতারা বলেন, আন্তর্জাতিক পোশাক মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ কমে গেছে। অনেক উদ্যোক্তা অংশ নিলেও বায়িং হাউজ প্রতিনিধি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্টদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে, ফলে দেশের ব্র্যান্ড প্রচারণা ব্যাহত হচ্ছে।
তারা সতর্ক করে বলেন,
“উৎপাদন সংকট ও ক্রয় আদেশের ঘাটতি যদি দ্রুত কাটানো না যায়, তাহলে রপ্তানির ধারাবাহিকতা ভেঙে পড়বে। শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের কার্যকর হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।”
বিজিবিএ মনে করে, উৎপাদক ও বায়িং হাউজের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো ছাড়া টেকসই শিল্পায়ন সম্ভব নয়। তাই খাতটির ভবিষ্যৎ রক্ষায় সরকার, উদ্যোক্তা ও ক্রেতা—তিন পক্ষকেই একসাথে কাজ করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই