মোংলায় নতুন সাঁকো নির্মাণে দুই গ্রামের ৪ হাজার মানুষের দুঃখের অবসান

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মোংলায় নতুন সাঁকো নির্মাণে দুই গ্রামের ৪ হাজার মানুষের দুঃখের অবসান
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার দুই গ্রামের চার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্টের অবসান ঘটেছে একটি নতুন সাঁকো নির্মাণের মাধ্যমে। উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের বিদ্যারবাহন খালের ওপর তৈরি হওয়া এই সাঁকোটি এখন বিদ্যারবাহন ও শেলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত সহজ করেছে।
এর আগে সাঁকো না থাকায় দুই গ্রামের মানুষকে খাল পার হতে অতিরিক্ত দুই কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো অথবা ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ব্যবহার করতে হতো। দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয়রা জনপ্রতিনিধিদের কাছে সাঁকো নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন, কিন্তু তাতে কোনো সাড়া মেলেনি।
অবশেষে গত ১৬ অক্টোবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে উপস্থিত হন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মোংলা-রামপাল-ফকিরহাট আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। সেই বৈঠকেই স্থানীয়রা সাঁকো নির্মাণের দাবি জানান, এবং তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণের ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বুধবার সকালে শেখ ফরিদুল ইসলাম স্থানীয়দের সঙ্গে সাঁকোটি পরিদর্শন করেন ও তা আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করেন। এসময় দুই গ্রামের মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাকে ধন্যবাদ জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা বিউটি বেগম, নমিতা হালদার, সুদীপ রায় ও মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “একটি সাঁকোর অভাবে আমাদের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। এখন সহজে যাতায়াত করতে পারছি। বিশেষ করে শিশুদের স্কুলে যাওয়া এবং বয়স্কদের চলাচল অনেক সহজ হয়েছে।”
বিএনপি নেতা শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, “এটি সম্পূর্ণ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করা কাজ। এখন খালের দুই পাড়ের নারী-পুরুষ ও শিশুরা সহজে চলাচল করতে পারছে। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য—এমন ছোট ছোট উদ্যোগই মানুষের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের সার্বিক উন্নয়নে আরও কাজ করা হবে।”
কোন মন্তব্য নেই