মা–বাবার পরিচয় অস্বীকারের অভিযোগে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

মা–বাবার পরিচয় অস্বীকারের অভিযোগে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

মা–বাবার পরিচয় অস্বীকারের অভিযোগে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪

জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে মা–বাবার পরিচয় অস্বীকারখরচ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনার জন্ম দেয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিপন এখন স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন এবং তার মা–বাবার আর্থিক দায়িত্ব নেন না। প্রতিবেদনে রিপনের মাকে বলতে শোনা যায়—

“খুব কষ্ট করে মানুষ করছি, এখন পরিচয়ও দেয় না। আমরা গরিব, পরিচয় দিলে যদি ওর মান–ইজ্জত না থাকে!”


🎥 আবেগঘন ভিডিওতে ভেঙে পড়লেন রিপন

প্রতিবেদন প্রচারের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে অনলাইনে। তবে এর পরেই ভাইরাল হয় রিপনের কান্নাজড়িত একটি ভিডিও, যেখানে তাকে মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে দেখা যায়।
ভিডিওতে রিপন বলেন—

“তোমারে দেহি না আমি? আব্বারে দেহি না আমি? তুমি ইড্ডা কী করলা? আমার জীবনডা শেষ করলা!”

এই ভিডিও প্রকাশের পর অনেকেই তাদের অবস্থান বদলে ফেলেন। কেউ লেখেন—

“মা–ছেলের সম্পর্ক নিয়ে তাড়াহুড়ো করে বিচার করা উচিত না।”
আবার কেউ মন্তব্য করেন—
“ভুল হতেই পারে, কিন্তু অনুতাপ থাকলে ক্ষমা প্রাপ্য।”


🗣️ রিপনের প্রতিক্রিয়া: “সব প্রশ্নের উত্তর দেব”

রিপন মিয়া এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় জানান—

“এই মুহূর্তে কথা বলার মানসিক অবস্থা নেই। তবে শিগগিরই সব প্রশ্নের উত্তর দেব। আমি সবসময় পরিবারকে দেখেছি, ভবিষ্যতেও দেখব। যাঁরা আমার সরল মা–বাবাকে নিয়ে ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার একদিন হবেই।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন,

“কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক অনুমতি ছাড়াই আমার বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং ঘরে নারী সদস্য থাকার পরও ভিডিও করে।”


📜 রিপন মিয়ার যাত্রা: কাঠমিস্ত্রির ছেলের সাফল্যের গল্প

নেত্রকোনার এক সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা রিপন মিয়া ২০১৬ সালে এক আবেগঘন ভিডিওর মাধ্যমে আলোচনায় আসেন।
ভিডিওর জনপ্রিয় লাইনটি ছিল—

“বন্ধু তুমি একা হলে আমায় দিয়ো ডাক,
তোমার সাথে গল্প করব আমি সারা রাত।”

সরল ভাষা, আঞ্চলিক উচ্চারণ ও আবেগমিশ্রিত উপস্থাপনা তাকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর করে তোলে। তবে জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কও পিছু ছাড়েনি তার।

কোন মন্তব্য নেই