বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি আশঙ্কা, দ্রুত ক্ষতিপূরণ দাবি ইএবির

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি আশঙ্কা, দ্রুত ক্ষতিপূরণ দাবি ইএবির
ঢাকা, ২০ অক্টোবর ২০২৫ (টাইমস এক্সপ্রেস ২৪):
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। সংগঠনটি তাদের সদস্যদের কাছে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ইএবির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আলী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে আগুনে পুড়ে যাওয়া পণ্য এবং কাঁচামালের সরাসরি ক্ষতি ছাড়াও, এসব উপকরণ দিয়ে উৎপাদিত রপ্তানি পণ্যের ক্ষতি আরও ভয়াবহ।”
ইএবি সভাপতি আরও বলেন, “এই ঘটনায় শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আস্থাও নষ্ট হতে পারে। রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
ইএবির ছয় দফা দাবি:
১️ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বীমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি।
২️ যেসব পণ্যের বীমা ছিল না, তাদের জন্য সরকারি বিশেষ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ।
৩️ কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ।
৪️ ওষুধ শিল্পের জন্য আলাদা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদাম নির্মাণ।
৫️ নিরাপদ দূরত্বে রাসায়নিক গুদাম স্থাপন।
৬️ গুদাম ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও প্রযুক্তিনির্ভর করা।
ওষুধ শিল্পে বিপর্যয়ের শঙ্কা
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, শীর্ষস্থানীয় ৩২টি ওষুধ কোম্পানির ২০০ কোটি টাকার বেশি কাঁচামাল পুড়ে গেছে, যা দিয়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আগুনের সময় কিছু বিমান চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেসব বিমানে থাকা ওষুধের কাঁচামাল নির্ধারিত তাপমাত্রায় সংরক্ষিত আছে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা আছে।”
সারসংক্ষেপ
ইএবির মতে, এ অগ্নিকাণ্ড বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য বড় আঘাত। দ্রুত তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ছাড়া দেশের অর্থনীতি ও রপ্তানি বাণিজ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে।
কোন মন্তব্য নেই