দরপত্র ছাড়াই জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার: জিটুজি চুক্তিতে ২০২৬ সালের প্রস্তুতি
দরপত্র ছাড়াই জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার: জিটুজি চুক্তিতে ২০২৬ সালের প্রস্তুতি
নিজস্ব প্রতিবেদক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
সরকার দরপত্র ছাড়াই সরকার-টু-সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ২০২৬ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থ বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) কমিটির ৩৪তম বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে জিটুজি চুক্তির আওতায় পরিশোধিত তেল আমদানি করা হবে।
একই বৈঠকে এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল ও ৫৭ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট সুয়াপ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৪২তম বৈঠকে সৌদি আরব, মরক্কো ও রাশিয়া থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৬৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন ডিএপি এবং ৩৫ হাজার টন এমওপি সার কেনা হবে।
অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং মিয়ানমার থেকে ১ লাখ টন চাল কেনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪৪৬ কোটি টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী,
-
দুবাইয়ের মেসার্স ক্রিডেন্টওয়ান এফজেডসিও থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল কেনা হবে (ব্যয়: ২১৬.৯০ কোটি টাকা)।
-
মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন (এমআরএফ) থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনা হবে (ব্যয়: ২২৯.৩২ কোটি টাকা)।
এছাড়া বরগুনায় ১০ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি বাফার গুদাম নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এম/এস এমবিএল-আরইএল (জেভি), ঢাকা, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

কোন মন্তব্য নেই