চুয়াডাঙ্গায় স্পিরিট পানে ৭ জনের মৃত্যু: আদালতের নির্দেশে ৪ মরদেহ উত্তোলন
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চুয়াডাঙ্গায় স্পিরিট পানে ৭ জনের মৃত্যু: আদালতের নির্দেশে ৪ মরদেহ উত্তোলন
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে কবর থেকে চারজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা মনির উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো তোলা হয়।
উত্তোলিত চারজন হলেন—
লাল্টু হোসেন (পিরোজখালি), সেলিম (খেজুরা), খেদের আলী (নফরকান্দি) ও শহিদুল মোল্লা (শংকরচন্দ্র)।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা মনির বলেন, “আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়েছে। প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর রাতে ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকায় কয়েকজন হোমিও স্পিরিট পান করলে একে একে সাতজন মারা যান। তাদের মধ্যে চারজনকে গোপনে দাফন করেন স্বজনরা। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
মারা যাওয়া সাতজন হলেন—খেদের আলী, মোহাম্মদ সেলিম, লাল্টু হোসেন, শহীদ, সামির, সরদার লাল্টু ও হায়াত আলী।
পুলিশ জানায়, এই মৃত্যুর সঙ্গে হোমিও চিকিৎসার নামে বিক্রি হওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ স্পিরিটের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ‘এ্যালকো ফারুক’ ও তার সহযোগী জুমাত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১১৭ বোতল বিষাক্ত স্পিরিট উদ্ধার করা হয়।
ওসি (তদন্ত) আলী হুসাইন বলেন, “আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স ছাড়া বিষাক্ত স্পিরিট বিক্রি করছিল। তাদের সরবরাহ করা স্পিরিটই এই মৃত্যুর কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

কোন মন্তব্য নেই