রাশিয়ার সাবমেরিন নিয়ে ন্যাটো প্রধানের ব্যঙ্গ: ‘ল্যাংড়া সাবমেরিন’ মন্তব্যে তোলপাড় - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

রাশিয়ার সাবমেরিন নিয়ে ন্যাটো প্রধানের ব্যঙ্গ: ‘ল্যাংড়া সাবমেরিন’ মন্তব্যে তোলপাড়

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রাশিয়ার সাবমেরিন নিয়ে ন্যাটো প্রধানের ব্যঙ্গ: ‘ল্যাংড়া সাবমেরিন’ মন্তব্যে তোলপাড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ১:৫১ | আপডেট: ২:১৭ অপরাহ্ন

রাশিয়ার একটি সাবমেরিনে যান্ত্রিক ত্রুটির খবর প্রকাশের পর সেটিকে ‘ল্যাংড়া’ বলে ব্যঙ্গ করেছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে। রুশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে তার এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৩ অক্টোবর) স্লোভেনিয়ায় এক ভাষণে মার্ক রুটে বলেন,

“১৯৮৪ সালের বিখ্যাত উপন্যাস দ্য হান্ট ফর রেড অক্টোবর-এর মতো দৃশ্য এখন আর নেই। মনে হচ্ছে, রাশিয়ার সাবমেরিনগুলো এখন বাড়ি ফেরার পথে মেকানিক খুঁজছে।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে রুটে পরোক্ষভাবে রুশ নৌবাহিনীর দুর্বলতা নিয়ে কটাক্ষ করেন।

অন্যদিকে, রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিট জানায়, তাদের ডিজেলচালিত সাবমেরিন নোভোরোসিস্ক ফ্রান্সের উপকূলে ভেসেছিল শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ন্যাভিগেশন নিয়ম মেনে চলার জন্য, কোনো ত্রুটি বা দুর্ঘটনার কারণে নয়।

নেদারল্যান্ডসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আগে জানিয়েছিল, উত্তর সাগরে সাবমেরিনটিকে টাগবোট দিয়ে টেনে নেওয়া হচ্ছিল— যা যান্ত্রিক ত্রুটির ইঙ্গিত দেয়।

তবে রুশ নৌবাহিনী তা অস্বীকার করে বলেছে, ফ্রান্সের উপকূলে সাবমেরিনটির “জরুরি ভেসে ওঠা” সম্পর্কে প্রচারিত সংবাদ বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

এদিকে, রুশ টেলিগ্রাম চ্যানেল ভিসিএইচকে-ওজিপিইউ দাবি করেছে, ২৭ সেপ্টেম্বর নোভোরোসিস্ক সাবমেরিনের জ্বালানি ট্যাঙ্ক থেকে তেল লিক হচ্ছিল জিব্রালটার প্রণালিতে, যা বিস্ফোরণের ঝুঁকি তৈরি করেছিল।

ব্রিটিশ রয়্যাল নেভি জানায়, তারা ৭ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সাবমেরিনটি নজরদারিতে রাখে এবং ন্যাটোর মিশনের অংশ হিসেবে এইচএমএস আয়রন ডিউক সেটিকে ইংলিশ চ্যানেল থেকে উত্তর সাগর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে। পরবর্তীতে ডাচ নৌবাহিনীও সেটিকে এসকর্ট করে।

রুটে তার ভাষণে আরও বলেন,

“ভূমধ্যসাগরে এখন রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপস্থিতি প্রায় নেই বললেই চলে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ন্যাটো প্রধানের এই মন্তব্য শুধু রাশিয়ার সামরিক দুর্বলতাকে ব্যঙ্গ নয়, বরং পশ্চিমা ঐক্য ও শক্তির বার্তা বহন করছে।

কোন মন্তব্য নেই