শিশুখাদ্য আমদানিতে আর থাকছে না শতভাগ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা
শিশুখাদ্য আমদানিতে আর থাকছে না শতভাগ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা
শিশুখাদ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার সময় আর শতভাগ মার্জিন দিতে হবে না। ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এখন থেকে শিশুখাদ্য আমদানির মার্জিনের হার নির্ধারণ করা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, কিছু ব্যাংক শিশুখাদ্যকে সাধারণ খাদ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের তালিকায় ফেলে শতভাগ নগদ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করছে, যা সঠিক নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, শিশুখাদ্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে গণ্য হবে এবং এটি ‘নন-সিরিয়াল ফুড’ বা প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও পানীয়ের তালিকার অন্তর্ভুক্ত নয়। ফলে শিশুখাদ্য আমদানিতে শতভাগ মার্জিন রাখার বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে না।
২০২২ সালের জুলাই মাসে ডলার সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু পণ্যে শতভাগ এবং কিছু পণ্যে ৭৫ শতাংশ এলসি মার্জিন নির্ধারণ করেছিল। তবে ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গাড়ি, স্বর্ণ, তামাক, মদসহ বিলাসী পণ্য বাদে অন্য সব পণ্যের ক্ষেত্রে মার্জিন নির্ধারণের ক্ষমতা ব্যাংকগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সর্বশেষ সার্কুলারে স্পষ্ট করা হয়েছে—ব্যাংকগুলো শিশুখাদ্য আমদানিতে গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তিতে সুবিধাজনক পন্থায় এলসি মার্জিন নির্ধারণ করতে পারবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের ফলে শিশুখাদ্য আমদানিতে জটিলতা ও ব্যয় কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই