আবারও ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য প্রতিশ্রুত অর্থ সাহায্য হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
আবারও ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য প্রতিশ্রুত অর্থ সাহায্য হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য পরিকল্পিত তহবিল থেকে প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার হ্রাসের ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, ওই অর্থ ‘অন্য কোথাও অধিক–অগ্রাধিকার ভিত্তিক কোনো প্রকল্পে’ ব্যবহার করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ, পশ্চিম তীর ও গাজার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা পর্যালোচনা করেছি। যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের মূল্যায়ন করতে আমেরিকার জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ওই অর্থ ব্যয় নিশ্চিত করা হবে। ওই পর্যালোচনার ভিত্তিতে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে পশ্চিম তীর ও গাজা প্রকল্পের জন্য পরিকল্পিত অর্থ তহবিল এফওয়াই২০১৭ থেকে ২০ কোটি মার্কিন ডলার বেশি অর্থ হ্রাস করা হবে।’ তবে হ্রাসকৃত অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হবে সে সম্পর্কে কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।
গত বছর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। এ বছর মে মাসে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করা হয়। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিন নেতারা। ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর গাজা ও পাশ্চিম তীরে সংঘাতও বেড়ে গেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরিকল্পনা আর মেনে নেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
এর মধ্যেই গত জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করে আসা জাতিসংঘের একটি সংস্থার তহবিলে প্রতিশ্রুত অর্থ বরাদ্দ থেকে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি ডলার প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যার পরিমাণ মোট তহবিলের অর্ধেকের বেশি।
নতুন করে বড় অংকের অর্থ সহায়তা হ্রাসের ঘোষণা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ‘দ্বি–রাষ্ট্রীক’ সমাধানের মাধ্যমে শান্তি আলোচনার যে উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছিল তা পুরোপুরি ভেস্তে যেতে পারে।
অর্থ সহায়তা হ্রাসের কারণে ওই অঞ্চলের জনগণের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে সতর্ক করছে জাতিসংঘ ও ফিলিস্তিনের বিভিন্ন ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা।
কোন মন্তব্য নেই