আবাসন সংকটে হাবিপ্রবির ছাত্রীরা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

আবাসন সংকটে হাবিপ্রবির ছাত্রীরা

দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ছাত্রীরা আবাসন সংকটের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট মেয়ে আছে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জন। আর মেয়েদের হল রয়েছে ৩টি। সেখানে মোট ৮১৩ সিটের বিপরীতে রয়েছেন ১২০০ জন। যা মোট ছাত্রীদের চার ভাগের এক ভাগেরও কম। ফলে ছাত্রীদের দিনাজপুর শহরে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে মেস ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। এতে খরচের সাথে নষ্ট হচ্ছে সময়। এজন্য ছাত্রীরা হচ্ছেন হলমুখী।

এদিকে ৩০ থেকে ৪০ জনকে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে একটি গণরুমে। অন্য রুমগুলোতে বেড ভেদে দুই জন করে ৪ সিটের রুমে ৬ থেকে ৮ জন করে থাকতে হচ্ছে। এতে পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, নির্মাণাধীন ছাত্রী হলের কাজ শেষ হলেই আবাসন সংকট কেটে যাবে।

আবার গণরুমেও জায়গা মিলছে না সহজে। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, আইভি রহমান হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীরা জানান, ৩য় বর্ষের আগে গণরুমেও মিলছে না থাকার জায়গা। চতুর্থ বর্ষে উঠলে ভালো ফলাফলের অগ্রাধিকারের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে সিট। তিন হলের ৫টি গণরুমে গাদাগাদি করে থাকছে ১৬০ জন ছাত্রী। এক রুমে সারি সারি বিছানায় পা ফেলার জায়গা থাকে না। বই ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে হয় বিছানার নিচে। আবার রিডিং রুম না থাকায় পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ ছাত্রীদের।

আবার অপর্যাপ্ত ও অস্বাস্থ্যকর টয়লেটের ফলে ভোগান্তিতে ছাত্রীরা। জানা যায়, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ৫৮ জন ছাত্রীর ব্যবহারের জন্য মাত্র ২টি টয়লেট থাকলেও কবি সুফিয়া কামাল হলের ৪৭ জনের জন্য নেই কোনো টয়লেট। টয়লেটের দাবি নিয়ে বেশ কয়েকবার হল সুপারের নিকট লিখিত দাবি জানালেও মিলছে শুধু আশ্বাস, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এছাড়াও সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্রবার-শনিবার) সুইপার না আসায় দুর্গন্ধের কারণে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

এদিকে সিট সংখ্যার প্রায় দেড়গুণ ছাত্রী হলে অবস্থান করলেও সে অনুপাতে কর্মচারী সংখ্যা অনেক কম। ফলে সঠিক সময়ে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না হওয়ায় যেখানে সেখানে ময়লার স্তুপের সৃষ্টি হয়। ছাত্রীরা বলছে, ময়লা আবর্জনা ঠিকভাবে পরিষ্কার না করায় কুকুরের উৎপাদ বেড়েছে। আবার হলের পেছনে বড় ঘন জঙ্গল নিয়ম করে না কাটায় সাপ মাঝে মধ্যে রুমের মধ্যে ঢুকে পড়ার মতো ঘটনার সাক্ষী তারা।

আবার ভালো মানের খাবারের অজুহাত দেখিয়ে মেসের মতো ডাইনিংয়ের বাজার করিয়ে নিচ্ছে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, সকাল বেলা ভিড় ঠেলে বাজার করে এসে এতই ক্লান্তি লাগে যে, ক্লাসে যাওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। তবে প্রভোস্ট বলছেন, মেয়েদের খাবারের মান বৃদ্ধি করার জন্য মিটিংয়ে মেয়েরা নিজে থেকেই এ দায়িত্ব নিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ফজলুল হক বলেছেন, ‘আবাসন সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের গণরুমে থাকতে হচ্ছে। নির্মাণাধীন ছাত্রী হলের কাজ শেষ হলেই আবাসন সংকটের পাশাপাশি বাকি সব সমস্যা কেটে যাবে।’

কোন মন্তব্য নেই