এনসিসি ব্যাংকের কার্ড ইস্যুয়েন্স ফি ও সুদহার কম - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

এনসিসি ব্যাংকের কার্ড ইস্যুয়েন্স ফি ও সুদহার কম


দীর্ঘদিন ধরে সুনাম ও সাফল্যের সঙ্গে কার্ড ব্যবসা করে আসছে এনসিসি ব্যাংক। গ্রাহক পর্যায়ে চাহিদা সম্প্রসারণের জন্য এনসিসি ব্যাংক নানা ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যান্য কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকের তুলনায় এনসিসি ব্যাংকের কার্ড ইস্যুয়েন্স ফি ও সুদহার কম। বছরে মাত্র ১২টি লেনদেন সম্পন্ন করলেই আমরা গ্রাহকদের বার্ষিক ফি মওকুফ করে দিচ্ছি। এছাড়া রয়েছে ফ্রি সাপ্লিমেন্টারি কার্ডের সুবিধা।


গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট ও সার্ভিস চালু করে আসছি। যেমন ইএমআই, ডিসকাউন্ট, বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি, রিস্ক অ্যাসিউরেন্স প্রোগ্রাম, প্রিভিলেজ পয়েন্ট, মেডিকেল সেকেন্ড ওপিনিয়ন সার্ভিস, এয়ারপোর্ট প্রটোকল সার্ভিস, আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা ইত্যাদি।


এনসিসি ব্যাংকের কার্ডে রয়েছে দুই ধরনের ইএমআই সুবিধা। প্রথমত, রেট বেজড ইএমআই সুবিধা, যেমন—ইনস্টা ক্রেডিট, ইজি বাই ও নো বার্ডেন আউটস্ট্যান্ডিং। দ্বিতীয়ত, শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টে ইএমআই সুবিধা।


গ্রাহকদের প্রত্যেকটি লেনদেনে আমরা প্রিভিলেজ পয়েন্ট দিই। প্রতি ৫০ টাকা অথবা ১ ডলার লেনদেনের বিপরীতে গ্রাহক ১ পয়েন্ট অর্জন করেন। আমাদের সিগনেচার কার্ডহোল্ডাররা প্রতি ৫০ টাকা অথবা ১ ডলার লেনদেনের বিপরীতে ২ পয়েন্ট অর্জন করেন। এনসিসি ব্যাংকের প্রিমিয়াম কার্ডহোল্ডাররা প্রায়োরিটি পাসের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ২০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পান।


বাংলাদেশের অধিকাংশ শিডিউল ব্যাংক কার্ডসেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং এর ধারাবাহিকতায় এনসিসি ব্যাংকও সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকদের বিভিন্ন চাহিদার কথা মাথায় রেখে এনসিসি ব্যাংক সবসময় গ্রাহক পর্যায়ে বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে আসছে। গ্রাহক পর্যায়ে এসব সুবিধা যেমন জনপ্রিয়তা বাড়াচ্ছে তেমনি আমরাও এ জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য আমাদের কার্ড সার্ভিস ক্রমাগত উন্নত করে যাচ্ছি। সম্প্রতি আমরা প্রতিটি শাখায় ব্রাঞ্চ অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ করেছি। গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ারও রয়েছে।


আমাদের ক্রেডিট কার্ড বেশকিছু কারণে গ্রাহক বেছে নিতে পারেন। প্রধানত কার্ড ইস্যুয়েন্স ফি ও সুদহার কম। এছাড়া রয়েছে ওয়ার্ল্ডওয়াইড অ্যাকসেপট্যান্স, কনভেনিয়েন্ট পেমেন্ট অপশন, সার্ভিস এক্সিলেন্স, যুগোপযোগী প্রডাক্ট ইত্যাদি। গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতেও আমরা বেশকিছু পরিকল্পনা করছি। শিগগিরই আমরা মাল্টিকারেন্সি ডেবিট কার্ড চালু করতে যাচ্ছি। ডেবিট কার্ডে ক্যাশব্যাক নিয়েও আমরা চিন্তাভাবনা করছি। আগামীতে বিভিন্ন ধরনের কার্ড নিয়ে আসব আমরা। যেমন প্রিপেইড কার্ড, উইমেন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, ইসলামিক ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড।


তবে ক্রেডিট কার্ডের বাজার সম্প্রসারণে কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে একটি ক্রেডিট কার্ড দিতে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বেশকিছু বাধ্যতামূলক কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। ক্ষেত্রবিশেষে যদি বাধ্যতামূলক কাগজপত্র শিথিলকরণ করা যায়, তাহলে ক্রেডিট কার্ডের বাজার আরো সম্প্রসারিত হবে বলে আমাদের ধারণা।


রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের বিভিন্ন চাহিদার কথা মাথায় রেখেও বিভিন্ন সেগমেন্টে মূল্যছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেগমেন্টগুলো হচ্ছে গ্রোসারি, ইলেকট্রনিকস, এয়ারলাইনস, রিসোর্ট, রিটেইল ও বিনোদন। এছাড়া ৩৫টিরও বেশি স্বনামধন্য হোটেলে ইফতার প্লাস ডিনারে থাকছে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি সুবিধা।


ক্রেডিট কার্ড একটি লাইফস্টাইল পণ্য। একজন গ্রাহক যদি ক্রেডিট কার্ড বুঝে খরচ করেন এবং ক্রেডিট কার্ডের শর্তাবলি সম্পূর্ণ অবগত হয়ে ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই ক্রেডিট কার্ডকে বিপদের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করতে পারবেন।


একজন সাধারণ গ্রাহককে সাধারণত তখনই ক্রেডিট কার্ড দেয়া হয় যখন তারা ক্রেডিট কার্ডের সব ধরনের ফি, চার্জ ও শর্তাবলি সম্পর্কে অবগত হয়ে আবেদন ফর্মে স্বাক্ষর করেন। কখনই একজন গ্রাহককে শর্তাবলি লুকিয়ে আমরা ক্রেডিট কার্ড দিই না। যদি গ্রাহক শর্তাবলি, ফি ও চার্জ সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত থাকেন তাহলে শর্তের বেড়াজালের বিভ্রান্তি কাটাতে সক্ষম হবেন। এনসিসি ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সব ধরনের ফর্ম, ফি, চার্জ ও শর্তাবলি দেয়া আছে, যাতে গ্রাহক সবকিছু সম্পর্কে অবগত থাকেন এবং তাদের সব ধরনের ভয় কেটে যায়।

কোন মন্তব্য নেই