ক্লাউডে একচেটিয়া কার্যক্রম চালাচ্ছে মাইক্রোসফট
ক্লাউড প্লাটফর্ম ও পরিষেবার মাধ্যমে বর্তমানে প্রযুক্তি খাতে ভালো অবস্থানে আছে মাইক্রোসফট। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমকে বাজার প্রতিযোগিতাবিমুখ ও একচেটিয়া বলে জানিয়েছে আরেক টেক জায়ান্ট গুগল। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন সরবরাহকারীর সঙ্গে আসন্ন চুক্তিরও সমালোচনা করেছে কোম্পানিটি। খবর রয়টার্স।
সফটওয়্যার জায়ান্ট গুগল বলছে, ‘এ চুক্তির মাধ্যমে লাইসেন্সিং নীতিমালাসংশ্লিষ্ট তুলনামূলক বিস্তৃত শঙ্কার কোনো সমাধান হবে না।’
মাইক্রোসফট ও এর ইউরোপীয় চুক্তি নিয়ে গুগল ক্লাউডের পক্ষে প্রথম মন্তব্য করেন কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট অমিত জাভেরি। রয়টার্সকে দেয়া বিবৃতিতে তিনি বিভিন্ন অ্যান্টিট্রাস্ট সংস্থার কাছে বিষয়টি উত্থাপনের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রকদের বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান। এর প্রতিক্রিয়ায় ২০২২ সালের মে মাসে এক ব্লগ পোস্টের তথ্য প্রকাশ্যে আনে মাইক্রোসফট। সে সময় কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ বলেন, ‘ক্লাউড সেবায় আধিপত্যের সঙ্গেই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কোম্পানিটি, যেখানে বৈশ্বিক বাজারে ক্লাউড সেবা থেকে প্রাপ্ত আয়ের কেবল ২০ শতাংশের কিছু বেশি অংশ তাদের দখলে আছে।’
তুলনামূলক দ্রুতবর্ধনশীল, কয়েকশ কোটি ডলারের ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই প্রযুক্তি জায়ান্টের মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা রয়েছে। যেখানে এ খাতের নেতৃত্ব দেয়া কোম্পানি অ্যামাজন ও মাইক্রোসফটের চেয়ে পিছিয়ে আছে গুগল।
অন্যদিকে নিজেদের ক্লাউড কম্পিউটিং অনুশীলন পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে মাইক্রোসফট। তবে এর জন্য তুলনামূলক ছোট প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে এ প্রযুক্তি জায়ান্ট এক চুক্তি করতে চায়। যেখানে বিভিন্ন অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকবে না। এ পদক্ষেপে ইইউর তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জাভেরি বলেন, ‘ক্লাউড খাতে মাইক্রোসফটের আচরণ নিশ্চিতভাবেই প্রতিযোগিতাবিরোধী। তারা বাজারে নিজেদের একচেটিয়া আধিপত্যের সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যেখানে তারা অ্যাজুর ও অন্যান্য ক্লাউড সেবা আটকে দিয়ে গ্রাহকের অফিস ৩৬৫ ও উইন্ডোজ ব্যবহারে বাধ্য করছে।’ আলোচ্য বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও ইউরোপীয় কমিশন কোনো মন্তব্য করেনি। জাভেরির বক্তব্য, ‘সমস্যাটি নিছক গুগল ও মাইক্রোসফটের মধ্যে চলমান বিবাদ, এমন নয়। প্রশ্ন কেবল গুগল নিয়ে নয়। আমি এটি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই। সমস্যা হলো ক্লাউড।’
কোন মন্তব্য নেই