কিশোরগঞ্জে গাছ আলুর বাণিজ্যিক চাষে সাফল্য, কৃষকের মুখে হাসি
![]() |
| ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত |
কিশোরগঞ্জে গাছ আলুর বাণিজ্যিক চাষে সাফল্য, কৃষকের মুখে হাসি
নিউজ প্রতিবেদন :
একসময় বাড়ির আঙ্গিনায় শখের বসে চাষ করা হতো গাছ আলু। কিন্তু এখন এই ফসলই হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃষকদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নতুন দিগন্ত। গত পাঁচ বছরে এখানে বাণিজ্যিকভাবে গাছ আলুর আবাদ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সহজ চাষ পদ্ধতি, কম খরচ, ভালো ফলন ও বাজারে বাড়তি চাহিদা—এই চার কারণে কৃষকরা এখন গাছ আলুর দিকে ঝুঁকছেন।
বর্তমানে পাকুন্দিয়ার বিভিন্ন মাঠে দেখা যাচ্ছে মাচায় ঝুলে থাকা গাছ আলুর মনোরম দৃশ্য। পান পাতার মতো দেখতে লতায় ঝুলে থাকা এই আলুকে স্থানীয়ভাবে ‘পান আলু’ নামেও ডাকা হয়। লতায় ঝুলন্ত আলুর পাশাপাশি মাটির নিচেও পাওয়া যায় বড় আকৃতির আলু, যা বাজারে বেশ দামে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে রোপণ করে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গাছ আলুর ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বিঘায় গড়ে ৮-১০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়, যা থেকে কৃষকরা প্রতি মৌসুমে ভালো মুনাফা অর্জন করছেন।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাছ আলু একটি উচ্চ ফলনশীল ও লাভজনক ফসল, যা জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও সম্প্রসারণ করা যায়। কৃষি বিভাগ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও বীজ সহায়তার পরিকল্পনা নিয়েছে।
পাকুন্দিয়ার কৃষকরা বলছেন, গাছ আলুর চাষ তাদের জীবনে অর্থনৈতিক পরিবর্তনের নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। অল্প খরচে বেশি ফলন পাওয়ায় এখন অনেকেই এই ফসলকে প্রধান সবজি হিসেবে বিবেচনা করছেন।

কোন মন্তব্য নেই